অনলাইন প্রতিবেদক, ৫ মে ২০১৩:
২০১১ সালের এক জরিপে দেখা গেছে সে বছর মৃত্যুবরণকারী কোরিয়ান তরুণদের সবচেয়ে বড় অংশটি আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন। স্ট্যাটিসটিক্স কোরিয়ার ওই জরিপ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১১ সালে ১৫-২৪ বছর বয়সের মধ্যে মারা যাওয়া তরুণদের সংখ্যা প্রতি লাখে ১৩ জন যা ২০০১ সালে ছিল প্রতি লাখে ৮ জন। দশ বছর আগে একই সংস্থার জরিপে প্রতি লাখে ১৫.৬ জন হারে সড়ক দুর্ঘটনা ছিল কোরিয়ায় প্রধান মৃত্যু কারণ। ২০১১ সালের জরিপে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতি লাখে ৭.৮ জন হারে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ২য় স্থানে রয়েছে। ক্যান্সার, হৃদরোগ ও পানিতে ডুবে মৃত্যু এ তালিকায় যথাক্রমে ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম স্থানে রয়েছে।
এদিকে কোরিয়ায় তরুণ প্রজন্মের জনসংখ্যা আশংকাজনক হারে কমছে বলেও দাবী করেছে স্ট্যাটিস্টিক্স কোরিয়া। ২০১৩ সালে কোরিয়ার মোট জনসংখ্যার মাত্র ২০ শতাংশ ৯-২৪ বছর বয়সী যা ১৯৭০ সালে ছিল ৩৫.১ শতাংশ। বিয়ে ও সন্তান জন্মদানে অনীহা সামনের বছরগুলোতে এ হার আরও কমিয়ে আনবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
দেশটির স্কুলগামী বাচ্চাদের মাঝে মিশ্র সংস্কৃতির পরিবারে বেড়ে ওঠাদের সংখ্যা বাড়ছে। বেড়েছে তরুণ প্রজন্মে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও। কিশোররা সপ্তাহে গড়ে ১৪ ঘণ্টার মতো ইন্টারনেটে ব্যয় করছে। এদিকে, উঠতি বয়সীদের মাঝে স্মার্টফোনের ব্যবহার ২০১১ সালের তুলনায় ২০১২ সালে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ১২-১৯ বছর বয়সীদের ৮০ শতাংশই জানিয়েছে তারা স্মার্টফোন ব্যবহার করে।