Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সন্ত্রাসী হামলার জন্য মুসলিমরা কেন ক্ষমা চাইবে?

pakistani-muslimপ্যারিসের সন্ত্রাসী হামলার জন্য একজন মুসলিম হিসেবে আমাকে কেন ক্ষমা চাইতে হবে? এরকম একটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে পাঁচ পাকিস্তানি তরুণের করা এক ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে শেয়ার করছেন হাজার হাজার মানুষ। এ পর্যন্ত প্রায় ২৫ লাখ মানুষ এই ভিডিওটি ফেসবুকে দেখেছেন।

প্যারিসে শনিবারের হামলার পর পশ্চিমা দেশগুলোতে আবারও ইসলাম আর সন্ত্রাসবাদের সম্পর্ক নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। ইউরোপের বিরাট অভিবাসী মুসলিম সম্প্রদায়ের দিকে আবারও সন্দেহ আর অবিশ্বাসের নজর দিতে শুরু করেছে গণমাধ্যম। পাঁচ পাকিস্তানি তরুণ তাদের ভিডিওতে এরই জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছেন।

chardike-ad

শুরুতেই প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ফরাসী জনগণের সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করে তারা বলছেন, ফ্রান্স এখন যে অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে তা পাকিস্তানে প্রায় নিয়মিত ব্যাপার।

গত বছর পেশাওয়ারের এক স্কুলে সন্ত্রাসী হামলায় ১৩০ জনের বেশি শিশু নিহত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে তারা বলছেন, পাকিস্তানের মানুষকে নিয়মিত এ ধরণের সন্ত্রাসী হামলার মোকাবেলা করতে হয়।

“প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার জন্য আমাদেরকে কেন জবাবদিহি করতে হবে? কয়েকজন মানসিক বিকারগ্রস্থ মানুষের কাজের জন্য আমাদের কেন ক্ষমা চাইতে হবে? ওরা নিজেদেরকে আমাদের মতো বলে দাবি করে বলে?”

“হিটলারের কাজের জন্য কি আপনারা সব জার্মানদের দায়ী করেন? মাও জেদং এর কাজের জন্য সব চীনাকে ? স্ট্যালিনের কাজের জন্য সব রুশকে?”
মুসলিমরাই বিশ্বে এই মূহুর্তে সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় শিকার, একথা জানিয়ে ভিডিওতে তারা বলেন, বিশ্বের যে দশটি দেশে সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে, তার আটটিই মুসলিম।

“আমরা আপনাদের মতই মানুষ। আপনাদের মতোই সমস্যা আমাদের। বিশ্বাস করুন একজন গড়পড়তা মুসলিম আপনার মতই হতাশ হয়, যখন দেখে তার ‘নাটেলা’ শেষ হয়ে গেছে। ক্রুদ্ধ হয় যখন বিশ্বকাপ ফুটবলে তার দল হারে। বিরক্ত হয় যখন সকালে কফি পান করতে পারে না। আর একটা জিনিসই তারা ছুরি দিয়ে কাটে কিংবা রোস্ট করে, ভালো এবং রসালো এক টুকরো বীফ স্টেক!”(বিবিসি)

দেখুন ফেসবুকের সেই ভিডিওটিঃ