Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আমিষ জাতীয় খাবারে বাড়ে বিষণ্ণতা

আমিষ জাতীয় খাবার অধিক গ্রহণের ফলে বিষণ্ণতা বাড়ে- গবেষণালব্ধ এমন ফলাফলের ভিত্তিতে বিষণ্ণ ব্যক্তিদের নিরামিষ খাবার পরামর্শ দিচ্ছেন কোরিয়ার একদল গবেষক। বুসানের দেদং হাসপাতাল ও সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কলেজ অব মেডিসিনের এক যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে যে যেসব কোরিয়ানরা পশ্চিমাদের মতো অধিক মাত্রায় আমিষভোজী, তাঁদের মধ্যে বিষণ্ণতায় ভোগার হারও অনেক বেশী।

৯ হাজার ৭১৭ জন কোরিয়ানকে তিন ধরণের ভোক্তা ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করে এ গবেষণা চালানো হয়ঃ পশ্চিমা (মাংস, ভাজা খাবার, কোমল পানীয়, নুডলস ও আইস ক্রিম), কোরিয়ান (শাকসবজি, সামুদ্রিক খাবার ও মাছ) এবং নিরামিষ (ফল, শাকসবজি ও শস্যদানা)।

chardike-ad

অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিষণ্ণতার সাধারণ মান ১ ধরে দেখা গেছে পশ্চিমা খাবার গ্রহণকারীদের মাঝে বিষণ্ণতার পরিমাণ ১.১৪৮, বিপরীতে নিরামিষভোজীদের মধ্যে বিষণ্ণতার পরিমাণ ০.৯। অর্থাৎ নিরামিষ ভোজোনে বিষণ্ণতার পরিমাণ কমতে পারে উল্লেখযোগ্য হারে। তবে কোরিয়ান খাবার বিষণ্ণতার উপর কোনরূপ প্রভাব ফেলে না বলেই জানাচ্ছে এই গবেষণা।

গবেষকরা বলছেন শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও বেটা ক্যারোটিন থাকে যেগুলো চাপ কমায় ও রোগজীবাণু প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। আর সুস্থ শরীরে প্রসন্ন মনে বিষণ্ণতাও বাসা বাঁধার সুযোগ পায় না খুব সহজে। বিপরীতে আমিষ ভোজন শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফলিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে দেহমনে চাপ বাড়িয়ে দেয় এবং সংগত কারণেই সৃষ্টি হয় উদ্বেগ-দুশ্চিন্তা-বিষণ্ণতাসহ নানা সমস্যা। একজন গবেষক যেমন বলছিলেন, “বিষণ্ণতা আসলে শুধুমাত্র পুষ্টিগত বিষয়ের উপর নির্ভর করে না। মনের শান্তি আরও অনেক কিছুর উপর নির্ভরশীল। তবে আমরা বিশ্বাস করি বেশী বেশী নিরামিষ জাতীয় খাবার গ্রহণ কিছু ব্যাপারে অন্তত ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।”