সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কর্মীসংখ্যা ১৭ হাজার ৪৮। প্রতিষ্ঠানটির এ বিপুলসংখ্যক কর্মীর মধ্যে গড়ে উঠেছে নিজস্ব সংস্কৃতি। তাদের পরস্পরের মধ্যে কিছু শব্দ ব্যবহার হয়, যা অন্যরা বুঝতে পারেন না। এমন ১৭টি শব্দ নিয়ে আয়োজনের আজ দ্বিতীয় পর্ব—
লিটল রেড বুক
২০১২ সালে লাল রঙের একটি বই উন্মোচন করেছিল ফেসবুক, যা শুধু সাইটটির কর্মীদের মধ্যে দেয়া হয়েছিল। শতকোটি গ্রাহকের মাইলফলক অতিক্রমকে কেন্দ্র করে বইটি বের করা হয়েছিল। বইটিতে ফেসবুকের বিভিন্ন লক্ষ্য ও আনন্দঘন মুহূর্তগুলোর কালপঞ্জি ছিল। এটির শেষ পৃষ্ঠায় কর্মীদের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলা হয়, সবার চেষ্টায় যদি বিশেষ কিছু তৈরি করতে না পারি, তাহলে ফেসবুকের মৃত্যু ঘটবে। এমনটা কি কেউ চায়?
হ্যাকার স্কয়ার
ফেসবুকের প্রধান কার্যালয়ে বিভিন্ন সম্মেলন ও কর্মীদের পরস্পরের মধ্যে দেখা করার স্থানটিকে বলা হয় হ্যাকার স্কয়ার। এখানে টাইলসের ওপর বড় করে হ্যাকার শব্দটি লেখা আছে। বলা হয়, সানফ্রান্সিসকোয় বিমান অবতরণের সময় এটি দেখা যায়।
২০
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের নতুন ক্যাম্পাসের নকশা করেছিলেন ফ্রাংক ঘ্রেরে। কিন্তু তার নকশার সঙ্গে নাম জুড়ে দেয়াটাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেননি সংশ্লিষ্টরা। তাই নতুন ক্যাম্পাসকে শুধু ‘বিল্ডিং ২০’ নামকরণ করা হয়। বিষয়টি শুধু ফেসবুক কর্মীরাই ভালো বোঝেন। বিল্ডিং ২০-এ সবুজ ছাদ রয়েছে, যা কর্মীরা ক্যাফেটেরিয়া হিসেবে ব্যবহার করেন। পাশাপাশি সেখানে কনফারেন্স কক্ষ রয়েছে।
গ্রাভিটি রুম
সেন্টার অব গ্রাভিটির কথা বলা হচ্ছে না মোটেও। এটি ফেসবুক নিয়ন্ত্রিত ফটো ও ভিডিও শেয়ারিং এবং সামাজিক নেটওয়ার্কিং সেবা ইনস্টাগ্রামের একটি অফিস কক্ষ। ফেসবুকের দাবি, বর্তমানে ইনস্টাগ্রামের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬০ কোটির মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
দ্য ক্রেন
হ্যাকার স্কয়ারের মাঝখানে রয়েছে একটি হলুদ ফিক্সার বা ক্রীড়ানুষ্ঠানের একটি নির্দিষ্ট স্থান। এখানে একটি মঞ্চও আছে। ফেসবুক কর্মীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য বাইরের অতিথিরা এখানে অপেক্ষা করেন। হ্যাকার স্কয়ার মূলত বিভিন্ন হ্যাকাথন প্রোগ্রামারের জন্য ব্যবহূত হয়। এক্ষেত্রে দ্য ক্রেনের যে মঞ্চ, সেটি ব্যবহার করা হয়।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার