Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ইরান ইস্যুতে ইউরোপেও সমালোচিত ট্রাম্প

trumpবহুল আলোচিত পারমাণবিক চুক্তিটি ইরান ‘মেনে চলছে’ কংগ্রেসকে এমন সার্টিফিকেট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শুক্রবার দেওয়া এক ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির বড় ধরনের এ পরিবর্তনের কথা জানিয়ে চুক্তিটি বাতিলও করতে পারেন বলে সতর্ক করেছেন ট্রাম্প।

এদিকে ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের জবাবে বিশ্ব নেতারা তার সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, এই চুক্তির ইস্যুতে তারা ইরানের পাশে থাকবে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানী বলেছে, চুক্তিটি তাদের জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট। তাই সেটি নিয়ে তাদেরও মাথা ব্যথা আছে। ট্রাম্প চাইলেও সেটি বাতিল করতে পারেন না।

chardike-ad

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, কোনো এক দেশ এই চুক্তি পরিবর্তন করতে পারে না। এর কাজ এখনও চলমান। এই অবস্থায় ট্রাম্প যা বলেছেন তা করতে পারেন না।

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্পের এম বক্তব্যে। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প ধীরে ধীরে যুক্তরাষ্ট্রকে সারা বিশ্ব থেকে আলাদা করে ফেলছেন।

তিনি প্রশ্নও রেখেছেন, যে চুক্তির সঙ্গে আন্তর্জাতিক ভাবে কয়েকটি দেশ জড়িত তাতে একজন প্রেসিডেন্ট কীভাবে বাতিল করেন। তিনি হয়তো ভুলে গেছেন, পারমানবিক চুক্তিটি তার দেশের সঙ্গে ইরানের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি নয়।

উল্লেখ, গতকাল ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তিটিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছেন। ইরান পারমাণবিক চুক্তিটি মেনে চলছে, অন্যান্য বিশ্ব শক্তিগুলো এমন সার্টিফিকেট দিলেও ট্রাম্প মানতে নারাজ।

ইরান পারমাণবিক চুক্তির ‘ভাবধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে না’ বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তেহরান যেন কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র সক্ষমতা অর্জন করতে না পারে তা নিশ্চিত করাই তার লক্ষ্য।

ট্রাম্প ইরানের বিপ্লবী রক্ষীদলের নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলেন এবং সিরিয়া, ইয়েমেন ও ইরাকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগ তুলে তেহরানের কড়া সমালোচনা করেন।

ট্রাম্প বলেন, আমরা এমন কোনো পথে চলতে পারি না ধারণাযোগ্যভাবে যা আরো সহিংসতা, আরো সন্ত্রাস এবং ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতার অত্যন্ত বাস্তব হুমকিতে পরিণত হতে পারে।

আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর বিষয়ে নিজের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি অনুসরণ করছেন ট্রাম্প। এই নীতির অংশ হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্রকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি, ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ সংক্রান্ত বাণিজ্য আলোচনা থেকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি, এবার ইরান পারমাণবিক চুক্তির ক্ষেত্রেও ওই নীতির প্রয়োগ ঘটালেন।