Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কিনবে দক্ষিণ কোরিয়া

trump-moonযুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ‘কয়েকশ কোটি ডলারের’ অস্ত্র কেনার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া গিয়ে এ কথা জানান। পরমাণু অস্ত্রসজ্জিত প্রতিবেশী দেশ উত্তর কোরিয়ার হামলা থেকে নিজেদের রক্ষার্থে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদেশটি অস্ত্র কিনছে বলে জানা গেছে। খবর এএফপি।

ট্রাম্প তার দুদিনের কোরিয়া সফরের প্রথম দিনে দেশটির প্রেসিডেন্ট মুন জা-ইনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে সংযোজিত গোলার ওজন বিষয়ক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ব্যাপারেও সম্মত হয়েছে।

chardike-ad

ট্রাম্প বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র ক্রয় করবে। তিনি বলেন, ‘সেটি উড়োজাহাজ হতে পারে, ক্ষেপণাস্ত্র হতে পারে, অন্য যেকোনো কিছু হতে পারে।’

অস্ত্র ক্রয়ে শত শত কোটি ডলার ব্যয় দেশটির জন্য যৌক্তিক আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, এর মানে হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে চাকরি, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস। উল্লেখ্য, এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৮ হাজার ৫০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন করা আছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন অস্ত্র ক্রয়ের ব্যাপারটি নিশ্চিত করে একে ‘অত্যাবশ্যক’ বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, তার দেশ নিরাপত্তা সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত সম্পদ নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও কোরিয়ার মধ্যে বিদ্যমান ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তির আওতায় সিউল কেবল ৫০০ কেজি ওজনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের গোলা উৎপাদন করতে পারে। এর বদলে যুক্তরাষ্ট্র কোরিয়ার ওপর সম্ভাব্য আক্রমণ ঠেকাতে ‘নিউক্লিয়ার ছাতা’ সুবিধা দেয়। তবে সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় দক্ষিণ কোরিয়া এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ব্যাপারে অনুরোধ করেছে।

সেপ্টেম্বরে উত্তর কোরিয়া তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরমাণু পরীক্ষা চালায়। এরপর যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার জোট নীতিগতভাবে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সম্মত হয়।

মুন উল্লেখ করেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্রের ‘ক্রমবর্ধমান হুমকির’ প্রেক্ষাপটে দুটি মিত্রদেশ এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ব্যাপারে ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত’ নিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া সত্যিকারের একটি সমঝোতার জন্য এগিয়ে না আসছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের ওপর সর্বোচ্চ চাপ ও নিষেধাজ্ঞা জারি করার ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র একমত হয়েছে।