Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিকদের বৈধ হওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে

malaysia-workerমালয়েশিয়ায় কর্মরত অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের বৈধ হওয়ার প্রক্রিয়া আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হতে যাচ্ছে। সে হিসেবে আর মাত্র ২৬ দিন সময় পাচ্ছেন বিদেশি শ্রমিকরা। আর তাই মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিকদের বৈধ হওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ।

দেশটির অভিবাসন বিভাগের প্রধান দাতু মোস্তাফার আলী জানিয়েছেন, এ সময়ের মধ্যে সকল অবৈধ বিদেশি কর্মীকে বৈধতার আওতায় আসতে হবে। তা না হলে দেশে ফেরত আসতে হবে।

chardike-ad

তিনি আরও জানান, ৩১ ডিসেম্বরের পর থেকে অবৈধ বিদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান চালানো হবে।

মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর বলেন, মাই-ইজি/বুক্তিমেঘা ও ইমান কোম্পানীর এ তিনটি ভেন্ডরে এ পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৬৫ জন বাংলাদেশি কর্মী রি-হায়ারিংয়ের জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন এবং ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি ই-কার্ড সংগ্রহ করেছেন।

তিনি আরও জানান, বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা ই-কার্ড এবং রি-হায়ারিংয়ের সুযোগ নিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক বাংলাদেশি এই সুযোগ নেয়ার জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন। এখনও একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এই প্রক্রিয়ার বাইরে রয়েছেন। তবে সেই সংখ্যা কত হবে-তা নিয়ে কোনো অনুমানে যেতে চাননি এ কর্মকর্তা।

সোমবার শ্রম কাউন্সেলর এ প্রতিবেদককে জানান, দূতাবাস প্রতিদিন প্রায় দু’ থেকে আড়াই হাজার লোককে সেবা দিয়ে আসছে। সেবার পাশাপাশি মাই-ইজি, বুক্তিমেঘা ও ইমান কোম্পানির রি-হিয়ারিং কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে রেখেছে দূতাবাস। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকে মিশনকে সর্বাত্মকভাবে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

কাউন্সেলর জানান, রি-হিয়ারিং এ ব্যর্থ নিয়োগকর্তারা আইনের আওতায় আসছেন। কুয়ালালামপুরের কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, অবৈধ শ্রমিক রেখেছেন অথচ নির্ধারিত সময়ে ই-কার্ড সংগ্রহ করেননি এমন নিয়োগকর্তাকে আইনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়ার সরকার। ডিজি ইমিগ্রেশনের বৈঠকে এ বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দেয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, কেন কর্মীদের ই-কার্ড করানো হয়নি এ জন্য নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকজনকে শাস্তিও দেয়া হয়েছে। তবে যারা কার্ড করেছেন, এমন কোম্পানি বা নিয়োগকর্তা ইমিগ্রেশনে অবৈধদের নামের তালিকা পাঠালে তাদের যাতে পুলিশ হয়রানি করতে না পারে সেই ব্যবস্থা নেবে মালয়েশিয়ার সরকার।

এ দিকে রি-হিয়ারিং প্রক্রিয়ায় শ্রমিক সমস্যা সমাধানকল্পে ইমিগ্রেশন বিভাগের ঊর্ধ্বতন  কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে এ বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দেয়া হয়েছে।

ইমিগ্রেশন বলছে, নানা কারণে অবৈধ হওয়া বিদেশি নাগরিকদের বৈধতার জন্য বারবার আহ্বান জানানো হয়েছে। দূতাবাসগুলোও কাজ করছে। এসময় সর্বোচ্চ সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক ই-কার্ড সংগ্রহ এবং রি-হায়ারিংয়ের সুযোগ নেয়ার জন্য নিবন্ধিত হওয়ায় ডিজি বৈঠকে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এ ছাড়া রিহায়ারিং কাজ দ্রুত করার জন্য ইমিগ্রেশন বিভাগ স্পেশাল টাস্কফোর্স করে দিয়েছে এবং তারা কাজ করছে।   যেসব কোম্পানি মাই ইজি, ইমান বা বুক্তি মেঘার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে তাদের দ্রুত ইমিগ্রেশনে কর্মীদের হাজির করতে বলেছে।