বিশ্বজুড়ে সম্পদের অসমতা বেড়েই চলেছে। গবেষকরা ধারণা করছেন ধনী-গরীবের বৈষম্য বর্তমানে গত শতাব্দীর ভেতর সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। সম্প্রতি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এনজিওদের সংস্থা অক্সফাম এক গবেষণা প্রতিবেদনে সম্পদের এ বৈষম্যের বিষয়টি প্রকাশ করেছে। অক্সফামের প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের অল্প কয়েকজন শীর্ষ ধনীর (১%) হাতে রয়েছে বিশ্বের ৮২ শতাংশ সম্পদ।
এ বৈষম্যের হার অতীতে এত বেশি ছিল না। অন্য একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ, ২০০০ সালেও শীর্ষ এক শতাংশ ধনীর হাতে ছিল প্রায় ৪৫ ভাগ সম্পদ। তবে তা এখন এক শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে বিশ্বে বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অক্সফাম জানিয়েছে, প্রতি দুই দিনে এখন একজন করে মানুষ বিলিয়নেয়ার হচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে অক্সফাম এ রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে। এতে তারা জানিয়েছে, বর্তমানে বিশ্বে ২,০৪৩ জন বিলিয়নেয়ার রয়েছে। এ বিলিয়নেয়ারদের সম্পদ গত ১২ মাসে ৭৬২ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ বৈষম্য বিষয়ে অক্সফামের প্রধান নির্বাহী মার্ক গোল্ডরিং বলেন, ‘এ পরিসংখ্যানে প্রকাশ পেয়েছে বর্তমানে বিশ্বের অর্থনীতিতে যা চলছে, তা মোটেই উচিত নয়।’
এছাড়া জানা যায়, বিশ্বের পূর্ণবয়স্ক অর্ধেক মানুষের হাতে রয়েছে মোট সম্পদের মাত্র ১ শতাংশ। ২০০৮ সালে বিশ্বমন্দা শুরুর পর এ বৈষম্য বাড়তে থাকে। ফলে ধনী ক্রমে আরো ধনী হয়ে উঠছে অন্যদিকে গরিবদের অবস্থার কোনো পরিবর্তন নেই।
সূত্র: বিবিসি ও ইনডিপেনডেন্ট