Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

লন্ডনে ফের হিজাব বিতর্ক

uk-children-hijabলন্ডনের একটি স্কুলে আট বছরের কম বয়সী মেয়েদের হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা জারির প্রতি সমর্থন জানিয়ে আবারও হিজাব বিতর্ক উস্কে দিয়েছে দেশটির পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘অফিস ফর স্ট্যান্ডার্ডস ইন অ্যাডুকেশন, চিলড্রেন সার্ভিস অ্যান্ড স্কিল (অফস্টেড)’। সংস্থাটির প্রধান আমান্ডা স্পিলম্যান বলেন, ধর্মীয় উগ্রতা শিক্ষাব্যবস্থাকে ব্যাহত করছে।

সম্প্রতি পূর্ব লন্ডনের সেন্ট স্টিফেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিনা লাল স্কুলে আট বছরের কম বয়সী মেয়েদের হিজাব পরা নিষিদ্ধ করেছিলেন। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হয়। সামাজিকমাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠে। তাকে তুলনা করা হয়, জার্মান স্বৈরশাসক হিটলারের সঙ্গে। একটা সময় সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হন তিনি।

chardike-ad

স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিনা লালের সমর্থনে অফস্টেড-এর প্রধান আমান্ডা বলেন, ‘আমি নিনা লালকে সম্পূর্ণ সমর্থন করি। যারা তাদের শিক্ষার্থীদের স্বার্থ দেখবে অফস্টেড তাদের পক্ষে সবসময়ই থাকবে।’ স্কুল কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই তাদের পোশাকের ব্যাপারে কঠোর হতে হবে বলেও জানান তিনি।

এরপর অফস্টেড সেই স্কুল পরিদর্শনে যান এবং সেখানে সমর্থন জানানো হয় নিনাকে। স্পিলম্যান বলেন, ‘এটা খুব দুঃখের যে- যুক্তরাজ্যের অন্যতম সেরা এই স্কুল এমন সমালোচনার শিকার হয়েছে। উদারতা না শিখিয়ে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে।’

অফস্টেড প্রধানের অভিযোগ, ‘বৈধ ও অবৈধ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনেকে ধর্মীয় উগ্রতা শিখছে। তার দাবি, এতে করে অনেকের দৃষ্টিভঙ্গি সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে।’

স্পিলম্যান বলেন, ‘ব্রিটেনের স্কুলগুলোর অনেক দায়িত্ব রয়েছে। ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থায় সবাইকে এক করে ভাবতে শেখানো হয়। আর এই শেখানোর সবচেয়ে বড় দায়িত্ব স্কুলগুলোর। আর এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনেক সময় ‘অপছন্দের সিদ্ধান্ত’ নিতে হতে পারে।’

নিনা লাল দাবি করেছিলেন, বয়ঃসন্ধির আগে কোনও নারীর জন্য হিজাব বাধ্যতামূলক নয়। এজন্য এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তবে গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল পরিচালনা কমিটির প্রধান আরি কোয়াইও পদত্যাগ করেছেন। স্কুলটির বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বাংলাদেশি, ভারতীয় ও পাকিস্তানি। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আগেই ব্রিটিশ সরকারের কাছে হিজাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল।