নাইজেরিয়ার একটি এয়ারলাইনের বিমান অবতরণের পর সেটির ইমারজেন্সি এক্সিট বা জরুরি বহির্গমন দরজা খুলে পড়েছে। ওই বিমানটি লাগোস থেকে আবুজায় অবতরণের পর এমন ঘটনা ঘটেছে। খবর বিবিসির।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এমনটা ঘটেছে এটি মানতে নারাজ ডানা এয়ার নামের ওই বিমান কোম্পানি। উল্টো এর জন্য বিমানটিরই একজন যাত্রীকে দোষীর কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে তারা। তারা বলছে, ‘দরজা খুলতে কোনো একজন যাত্রীর সচেতন চেষ্টা ছাড়া’ এমনটা ঘটতেই পারে না।
তবে বিমানটিতে থাকা যাত্রী এটি অস্বীকার করেছেন। লাগোসের বাসিন্দা ওই যাত্রী দাপো সানও বলেন, ফ্লাইটে প্রচুর শব্দ পাচ্ছিলাম। আর ফ্লোর প্যানেল খুব কাঁপছিল। আমি খেয়াল করলাম যে জরুরি বহির্গমন দরজার হুক আলগা হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, যখন বিমানটি অবতরণ করলো তখন সেটি পার্কিং পয়েন্টের দিকে যেতে লাগলো। এসময় আমরা ছোট একটা শব্দ শুনতে পেলাম। এরপরই প্রচণ্ড বাতাস ও শব্দ শুনতে পেলাম। এটা ভয়াবহ ছিল।
দাপো আরও বলেন, বিমানের ক্রুরা এসময় যাত্রীদের ওপর দোষ চাপাতে থাকেন। তারা এমনকি আমাদের ছবি বা ভিডিও তুলতে বাধা দেয়। ওলা ব্রাউন নামের একজন যাত্রী টুইটারে লিখেছেন, আপনি কি পুরো ফ্লাইট জুড়ে দরজার ঘর্ঘর শব্দ শুনেছেন? এটা খুব বিরক্তিকর ছিল। আমি ভেবেছিলাম দরজার স্ক্রু আলগা ছিল। কিন্তু এভাবে দরজাটাই খুলে পড়বে সেটা ভাবিনি!
এর আগে ২০১২ সালে ডানা এয়ারের একটি বিমান লাগোসে এক দোকানে ঢুকে পড়ে। ওই ঘটনায় বিমানে থাকা ১৫৩ জন আরোহীর সবাই নিহত হন। নাইজেরিয়ার বিমান নিরাপত্তার রেকর্ড খুব একটা ভালো না। গেলো বছর রানওয়েতে বড় ধরনের সংস্কারের জন্য আবুজা বিমানবন্দর ছয় সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখা হয়।