Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

৫০ বছর পর কেমন হবে বিমান সেবা

bimanএক সময় মানুষ পাখির মতো ওড়ার স্বপ্ন দেখতো। আর সেই স্বপ্ন বাস্তব রূপ নেয় ১৯০৩ সালে। লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির আঁকা ছবির প্রেক্ষিতে আকাশে ওড়ার জন্য সর্বপ্রথম উড়োজাহাজ তৈরি করেন আমেরিকান অরভিল রাইট এবং উইলবার রাইট ভ্রাতৃদ্বয়। রাইট ভাইদের দেখানো সেই পথে রূপকথার সেই বিমান বাস্তব রূপ নিয়ে আকাশে ওড়ার পর আবিষ্কৃত হয়েছে হাজারো রকমের অত্যাধুনিক বিমান।

সময়ের ব্যবধানে বিমানের ব্যাপক কৌশলগত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে মানুষের চাঁদে অবতরণের মধ্যের সময়টাতে মূলত বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রভূত অগ্রগতি সাধিত হয়। ১৯৬৭ সালে মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কমার্শিয়াল এয়ারপ্লেনস তৈরি করে ‘বোয়িং ৭৩৭’। বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী এক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয় বোয়িং ৭৩৭। এরপর কেটে গেছে অর্ধশত বছর। এই অর্ধশত বছরে বড় এবং দ্রুতগতির বিমান নির্মাণে বোয়িংয়ের সাথে প্রতিযোগিতায় নামে আরো কিছু বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। প্রতিযোগিতায় নামা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো বিমানে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করলেও এক প্রকার পরাজিত হয়েছে বোয়িংয়ের কাছে।

chardike-ad

তাই আগামী ৫০ বছর পরে বিমান সেবায় যুগান্তকারী কোন পরিবর্তন আসবে নাকি ব্যক্তি মালিকানাধীন বিমান ব্যবস্থা জনপ্রিয়তা লাভ করবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা। সত্তরের দশকে বিলাসবহুল বিমান সেবার জন্য এমব্রায়ার কয়োটা এয়ারশিপ যাত্রীদের জন্য কিছু বিমান আনার চেষ্টা করেছিলো। যেখানে যাত্রীদের জন্য সব ধরনের সেবার ব্যবস্থা করতে চেয়েছিল। মিনি অ্যাপার্টমেন্টের মতো ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল সেই বিমানে। এই প্রতিযোগিতায় কনকর্ডের টিইউ-১৪৪ এবং নর্থপ বি-২ প্রকৃতির কিছু বিমান চালুর চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। তাই ধারণা করা হচ্ছে বিমানে যতো সুবিধাই দেয়া হোক না কেন তা তেমনভাবে আকর্ষণ তৈরি করতে পারবে না যতোটা ভাবা হচ্ছে ব্যক্তি মালিকানাধীন উড়ুক্কু বিমান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে।

ব্যবহারকারীর নানাবিধ সুবিধার কথা মাথায় রেখে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ৫০ বছর পরে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন উড়ুক্কু বিমান ব্যবস্থাই জনপ্রিয়তা লাভ করবে। বিশ্বের বেশিরভাগ মেগা শহরে যানজট নিত্যদিনের চিত্র। যানজটের কারণে প্রতিদিন নষ্ট হয় কর্ম-ঘণ্টা, জ্বালানি। তবে এই যানজট থেকে মুক্তি দিতে অনেক দিন ধরেই বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো উড়ুক্কু যান নিয়ে গবেষণা করছে।

উড়ুক্কু ট্যাক্সি বা উড়ুক্কু যান সার্ভিস চালু হলে তা যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা নিয়ে আসবে। হয়তো আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ব্যবহারকারীরা সংক্ষিপ্ত যাত্রার জন্য উড়ুক্কু ট্যাক্সি বা উড়ুক্কু বিমান ব্যবহারে অভ্যস্ত হবে। আর আগামী ৫০ বছর পরে প্রযুক্তির উন্নতির ফলে তা হয়তো আরো বেশি গ্রহণযোগ্যতা লাভ করবে। উড়ুক্কু ট্যাক্সিতে ব্যবহার করা হয়েছে একাধিক ব্যাক আপ ব্যাটারি, একাধিক রোটোর এবং এক জোড়া প্যারাসুট। -সিএনএন

সূত্র- ইত্তেফাক