Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে আবারও কুয়েতের নিষেধাজ্ঞা

বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের ওপর আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের উত্তরের দেশ কুয়েত। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেইখ খালিদ আল জাররাহ সোমবার বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।

একই সঙ্গে এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। দেশটির নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সোমবার কুয়েতের আরবি ভাষার স্থানীয় দৈনিক আল-জারিদা (Al Jareeda) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

chardike-ad

ওই সূত্র বলছে, কর্মক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের আবাসন পারমিটে অনিয়ম ও পাচারকারীদের অপব্যবহার এবং দৌরাত্ম বৃদ্ধি পাওয়ায় শ্রমিক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় কুয়েত। এর পরপরই এই অনিয়মের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

কুয়েতের নিরাপত্তা সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যমান কঠোর নীতিমালা থাকা সত্ত্বেও গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম ঘটছে। সংস্থাটির দেয়া এ প্রতিবেদনের জেরে ফের বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুয়েত।

একটি জটিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটিতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ দেয়া হয়। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যক্তিগত অ্যাজেন্ট, দালালরাও জড়িয়ে থাকে। ফলে কেউ কেউ অনেক সময় প্রতারণার শিকার হন।

বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ শুরু করে কুয়েত; যা ২০০৭ সাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এ সময়ের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে কমপক্ষে ৪ লাখ ৮০ হাজার বাংলাদেশি কর্মে যোগ দিয়েছে।

নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দেশটিতে পাড়ি জমানোর পর অবৈধ কাজে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে ২০০৭ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করে কুয়েত। ২০১৪ সালে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে আবারো বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় দেশটি।

২০১৬ সালের মে মাসে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে অনিয়মের তথ্য উঠে আসার পর আবারো বাংলাদেশে থেকে পুরুষ গৃহকর্মী নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কুয়েত।

পরে কুয়েত সরকার দেশটির নাগরিকদের বিদেশি শ্রকি নিয়োগে নতুন শর্ত আরোপ করে। ওই সময় বলা হয়, প্রত্যেক কুয়েতি নাগরিক যদি কোনো দেশের একজন পুরুষ গৃহকর্মী নিযুক্ত রাখেন; তাহলে ওই দেশের আর কোনো শ্রমিককে নিয়োগ দিতে পারবেন না।

নতুন শর্তে বলা হয়, নিয়োগদাতার অবশ্যই নিজস্ব বাড়ি থাকতে হবে কুয়েতে। ২০১৬ সালে কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ২ লাখ।