Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মালয়েশিয়ায় ৫৪ বাংলাদেশিসহ ১৩৯ জন আটক

malaysiaমালয়েশিয়ায় মেগা-থ্রি অভিযানে ৫৪ বাংলাদেশিসহ ১৩৯ জনকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। ২৪ জুলাই (মঙ্গলবার) দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরের মারা ডিজিটাল মল ও তার আশপাশের এলাকা থেকে এই অবৈধ অভিবাসীদের আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ভারত,পাকিস্তান ও ভিয়েতনামের নাগরিক রয়েছেন।

কতজন অবৈধ অভিবাসী রয়েছেন এ বিষয়ে ইমিগ্রেশনের কাছে সঠিক হিসাব না থাকলেও তাদের ধারণা ইন্দোনেশিয়ার পরে বেশি অবৈধ বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে মালয়েশিয়ায়।

chardike-ad

অভিযান শেষে দেশটির ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক মোস্তফা আলী স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে সকল অবৈধ শ্রমিককে থ্রি-প্লাস পদ্ধতি অনুসরণ করে নিজ নিজ দেশে ফিরত যেতে হবে। ৩১ অগস্টের পরে কোনো অবৈধ শ্রমিককে মালয়েশিয়া থাকতে দেয়া হবে না বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।

মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশন পুলিশের এমন অভিযানে আতঙ্কে দিন কাটছে অবৈধ বাংলাদেশিদের। বিভিন্ন সময়ে মালয়েশিয়ায় কথিত এজেন্ট দ্বারা প্রতারিত হওয়ার কারণেই অধিকাংশ বাংলাদেশি বৈধ হতে পারেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।

malaysia২০১৬ সালে অবৈধ শ্রমিকদের বৈধকরণ প্রক্রিয়ার বড় একটি অংশ বাংলাদেশি এজেন্ট দ্বারাই অবৈধকর্মীরা ইমিগ্রেশনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট করে। ওসব কোম্পানির অধিকাংশ মালিক বাংলাদেশের। মালয়েশিয়ান স্ত্রী ও তাদের নামে খোলা বিভিন্ন কোম্পানি। এসব কোম্পানির কোনো কাজ না থাকলেও শুধু অর্থের লোভে বাংলাদেশিদের ফিঙ্গার প্রিন্ট করানো হয় বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। আর ওই ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে প্রতারক বাংলাদেশি চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। দীর্ঘদিন ঘুরেও কোনো প্রকার ভিসা না পেয়ে বর্তমানে মালয়েশিয়া সরকারের সাধারণ ক্ষমার আওতায় ৩+১ ট্রাভেল পাস কেটে দেশে ফিরে আসছেন অনেক বাংলাদেশি। আর এসব বাংলাদেশি বৈধ হওয়ার জন্য এজেন্টের হাতে টাকা পাসপোর্ট তুলে দিলেও পাননি বৈধতা। টাকা ফেরত দেয়া তো দূরে থাক টাকা চাইলে তাদের বিভিন্ন ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা হয়।

মালয়েশিয়ার কলকারখানা অধ্যুষিত এলাকা পেনাংয়ে কর্মরত সুলাইমান এ প্রতিবেদককে জানান, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের এজেন্ট আমার কাছ থেকে চার হাজার রিঙ্গিত (বাংলাদেশি ৮০ হাজার টাকার) বিনিময়ে আমাকে শুধু একটি মাই ইজির কাগজ ধরিয়ে দেয়। দীর্ঘদিন ঘুরেও আমার ভিসা না হওয়ার কারণে আমাকে দেশে চলে যেতে হচ্ছে। সুলাইমান টাকা চাইতে গেলে তাকে ওই এজেন্ট বিভিন্ন প্রকার হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করে। এরকম আরও অনেক অভিযোগ নিজ দেশিদের দ্বারা প্রতারিত বাংলাদেশিদের। পাহাং জেলার কুয়ান্তান এলাকায় বাংলাদেশি এজেন্ট দ্বারা প্রতারিত হয়ে প্রায় দুই থেকে তিনশ বাংলাদেশি দেশে চলে গেছেন। এভাবেই মানবেতর জীবন-যাপন আর ধরপাকরের ভয়ে শেষমেষ খালি হাতে দেশে ফিরতে হচ্ছে বাংলাদেশিদের।

সৌজন্যে- জাগো নিউজ