Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

প্রবাসীদের ভোটার করতে শিগগিরই অনলাইনে আবেদন

amirat-bangladeshiপ্রবাসীদের ভোটার করতে তাদের আবেদন অনলাইনে নেয়ার ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য তৈরি করা হবে আলাদা সার্ভার। ভোটার করার পর তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেয়া হবে। এজন্য একটি আলাদা বিধিমালা তৈরি করেছে ইসি। এর মাধ্যম প্রথমে যুক্তরাজ্য, দুবাই, সিঙ্গাপুর ও সৌদি আরবের প্রবাসীরা ভোটার হওয়ার সুযোগ পাবেন। ভোটার হতে তাদের বাড়তি আটটি তথ্য দিতে হবে। ইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম সোমবার (১৪ অক্টোবর) টেলিফোনে বলেন, ‘প্রবাসীদের ভোটার করার দাবি দীর্ঘদিনের। এনআইডির কারণে তারা অনেক জরুরি কাজ করতে পারেন না। এজন্য তাদের ভোটার ও পরে জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন। দু-এক সপ্তাহের মধ্যেই অনলাইনে আবেদনের জন্য একটি পৃথক সার্ভার তৈরি করে এ-সংক্রান্ত ঘোষণা দেয়া হবে। প্রথমে যুক্তরাজ্য, দুবাই, সিঙ্গাপুর ও সৌদি আরবের প্রবাসীরা এ সুযোগ পাবেন। পরবর্তীতে সুযোগ পাবেন কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিরা।’

chardike-ad

নির্বাচন কমিশনে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইসি প্রণীত প্রবাসীদের ভোটার বিধিমালায় অন্তত আটটি তথ্য বেশি দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। এজন্য বিধিমালায় সংযোজন করা হয়েছে ফরম-২(ক)। দেশে বসবাসরত নাগরিকদের ফরম-২ এবং বিদেশি নাগরিকরা যাতে দ্বৈত ভোটার হতে না পারে, সেজন্য ৩২টি বিশেষ এলাকার জন্য ফরম-২ এর সঙ্গে বিশেষ তথ্য ফরম পূরণ করতে হয়।

জানা যায়, সম্প্রতি ইসি সচিব আলমগীর স্বাক্ষরিত ভোটার তালিকা প্রণয়ন বিধিমালা সংশোধনের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বসবাসরত দেশে ইসির স্থাপিত রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে গিয়ে কিংবা অনলাইনে ভোটার হওয়ার আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে তিনি সর্বশেষ যে এলাকায় বসবাস করেছেন বা নিজের অথবা বাবার বাড়ির ঠিকানায় ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। পরবর্তীতে তার আবেদন সেই এলাকার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্তের পর দশ আঙুলের ছাপ, চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি ও ভোটারের ছবি তুলে এনআইডি সরবরাহ করা হবে। এর আগের রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে ও ইসির ওয়েবসাইটে দাবি-আপত্তির জন্য তালিকা দেয়া হবে। এ সময়ের মধ্যে কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করা যাবে।

প্রবাসীদের ফরম পূরণের ক্ষেত্রে দেখা যায়, পিতার নাম ও মাতার নাম ইংরেজি ও বাংলায়, বসবাসরত দেশের নাম, জিপ কোড, বাসা ও হোল্ডিং নম্বর, স্টেট বা প্রদেশ, ফোন নম্বর, শনাক্তকারী ব্যক্তির নাম প্রভৃতি আটটি তথ্য বেশি দিতে হবে। এ ছাড়া পাসপোর্ট নম্বর, কর শনাক্তকরণ নম্বরও (টিআইএন) উল্লেখ করতে হবে ফরমে।

দেশে বসবাসরতদের জন্য পিতার নাম বা মাতার নাম বাংলা কিংবা ইংরেজি যেকোনো একটায় লিখলেই হয়। ফরম-২-এ সেভাবে ঘর করা আছে। পাসপোর্ট নম্বর ও টিআইএন না দিলেও চলবে, কেননা সেখানে ‘যদি থাকে’ লেখা রয়েছে।

দেশের বসবাসরতদের জন্য ফরমে স্বাক্ষর করতে হয় শনাক্তকারী ব্যক্তির তথ্যের আগেই। আর নামও উল্লেখ করতে হয় না। কিন্তু প্রবাসীদের বেলায় স্বাক্ষর করতে হবে শনাক্তকারী ব্যক্তির তথ্য দেয়ার পর। অর্থাৎ প্রবাসীদের ফরমে শনাক্তকারীর নাম, এনআইডি নম্বর ও স্বাক্ষর দিতে হবে। এই স্বাক্ষরও অনলাইনের মাধ্যমে দেশের কোনো আত্মীয় বা পরিজন দিতে পারবেন।