
এশিয়া কাপের ফাইনালে শুরুটা স্বপ্নের মতো হয়েছিল পাকিস্তানের। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটি শাহিবজাদা ফারহান ও ফখর জামান মাত্র ৯.৪ ওভারেই তুলে নেন ৮৪ রান। ১২.৪ ওভারে তাদের রান ছিল ১১৩। প্রজেক্টেড স্কোর দেখাচ্ছিল ১৮০-২০০। কিন্তু এরপর নিদারুণ ব্যাটিং বিপর্যয়ে ১ উইকেটে ১১৩ থেকে পাকিস্তান অলআউট হয় ১৪৬ রানে! অর্থাৎ মাত্র ৩৩ রানের ব্যবধানে তারা হারায় ৯টি উইকেট!
ফারহান ও ফখরের ঝোড়ো জুটির পর কুলদীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেল ও বরুণ চক্রবর্তীর ঘূর্ণি যাদুতে দিশেহারা হয়ে পড়ে পাকিস্তান। কুলদীপ ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে নেন ৪টি উইকেট। তার স্পেলের শেষ ওভারে মাত্র ১ রানে নেন ৩ উইকেট। অক্ষর ৪ ওভারে ২৬ রানে নেন ২টি উইকেট। বরুণ ৪ ওভারে ৩০ রানে নেন ২টি উইকেট। আর বুমরাহ ৩.১ ওভারে ২৫ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।
ব্যাট হাতে পাকিস্তানের কেবল তিনজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেন। ফারহান ৩৮ বলে ৫টি চার ও ৩ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন। ফখর জামান ৩৫ বলে করেন ৪৬, আর সাইম আয়ুব ১১ বলে ১৪ রান যোগ করেন। বাকিদের রান ছিল টেলিফোনের ডিজিটের মতো- ০৮১৬০০৬১।
পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত অলআউট হয় মাত্র ১৪৬ রানে, যেখানে ওপেনারদের অবদানই ছিল প্রধান। ভারতের স্পিন ত্রয়ীর জাদু এবং বুমরাহর সহায়তায় পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার ধসে পড়ে, যা ম্যাচের চিত্র সম্পূর্ণ পাল্টে দেয়।
এই নাটকীয় ব্যাটিং বিপর্যয় ফাইনালকে আরও স্মরণীয় করে তুলেছে, যেখানে পাকিস্তান-ভারত লড়াইয়ের উত্তেজনা অবিস্মরণীয় হয়ে রইল।
পাকিস্তানের একাদশ: সাহিবজাদা ফারহান, ফখর জামান, সাইম আইয়ুব, আগা সালমান (অধিনায়ক), মোহাম্মদ হারিস (উইকেটকিপার), হুসেইন তালাত, মোহাম্মদ নেওয়াজ, ফাহিম আশরাফ, শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ।
ভারতের একাদশ: অভিষেক শর্মা, শুবমান গিল, সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), তিলক বর্মা, সঞ্জু স্যামসন (উইকেটকিপার), শিবম দুবে, রিংকু সিং, অক্ষর প্যাটেল, যশপ্রীত বুমরা, বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব।





































