Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিশ্বকাপের পাঁচটি সেরা সেভ

১৯ জুন ২০১৪:

ব্রাজিলের আক্রমণভাগকে রুখে দিয়ে সবার মুখে মুখেই এখন মেক্সিকো গোলরক্ষক গুইলেরমো ওচোয়ার প্রশংসা। অবিশ্বাস্যভাবে নেইমার ও তার সতীর্থদের বেশ কয়েকটি গোলের চেষ্টা রুখে দিয়ে মেক্সিকোকে মূল্যবান এক পয়েন্ট এনে দিয়েছেন ওচোয়া। বিশ্বকাপের ইতিহাসে গোলরক্ষকদের যেসব সেভ ফুটবলভক্তদের অভিভূত করেছে তার পাঁচটি তুলে ধরা হলো আলোকিত বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য-

chardike-ad

ইকার ক্যাসিয়াস (স্পেন, ২০১০) : হয়তো সবচেয়ে দর্শনীয় গোলরক্ষার তালিকায় এটি থাকবে না; কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোলরক্ষা হিসেবে বিবেচিত হতে বাধ্য। ২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনালে রোবেনকে প্রায় নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত করেছিলেন ক্যাসিয়াস। গোলরক্ষককে একা পেয়েও নিশানাভেদে ব্যর্থ হন ডাচ স্ট্রাইকার। পোস্টে রোবেনের শট ডান পা দিয়ে ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। যেটার মাশুল নেদারল্যান্ডসকে গুনতে হয়েছিল ফাইনালে হারের মধ্য দিয়ে।4_79798

ওচোয়া (মেক্সিকো, ২০১৪) : ব্রাজিল বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল গোলরক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছেন মেক্সিকোর এ গোলরক্ষক। অনেকবারই সম্ভাব্য বিপদ থেকে দলকে বাঁচিয়েছেন তিনি। তবে নেইমারের দুর্দান্ত হেডটি অবিশ্বাস্যভাবে প্রতিহত করে তারকা বনে গেছেন ফরাসি দ্বিতীয় লিগের ফুটবলার ওচোয়া। নেইমারের দর্শনীয় হেড ডানদিকে লাফিয়ে পড়ে ততোধিক দর্শনীয়ভাবে প্রতিহত করেন ওচোয়া। যেটা ব্রাজিল বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দুর্দান্ত সেভ।

গর্ডন ব্রাঙ্কস (ইংল্যান্ড, ১৯৭০) : সম্ভবত বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বিখ্যাত গোল সেভ। পেলের নিম্নমুখী হেডটিকে ভাবা হচ্ছিল ব্রাজিল কিংবদন্তির আরও একটি বিশ্বকাপ গোল। কিন্তু ইংল্যান্ড গোলরক্ষক গর্ডন ব্রাঙ্কস ক্ষিপ্রগতিতে নিজেকে পেছনে সরিয়ে নিয়ে অসাধারণ সেভ করেন। পরে পেলে বলেছেন, বিশ্বের যেখানেই তিনি যান লোকজন তার গোলগুলো নিয়ে আলোচনা করে থাকেন। শুধু ইংল্যান্ড বাদে। যেখানে লোকজন শুধু ব্রাঙ্কসের ওই সেভটি সম্পর্কেই কথা বলতে চান।

জিয়ানলুইজি বুফন (ইতালি, ২০০৬) : ফ্রান্সের অন্যতম ফুটবল আইকন জিনেদিন জিদানের প্রফেশনাল খেলোয়াড়ি জীবনটা শেষ হয় ইতালির মার্কো মাতেরাজ্জিকে মাথা দিয়ে ঢুস মারার কুখ্যাত ঘটনার মধ্য দিয়ে। কিন্তু ২০০৬ বিশ্বকাপটা হতে পারত শুধুই জিদানময়। যদি ফাইনালে জিদানের দুর্দান্ত হেডটি ইতালি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন বিদুৎগতিতে লাফিয়ে উঠে বল বারের উপর দিয়ে পাঠিয়ে না দিতেন।

টমাস এনকোনো (ক্যামেরুন, ১৯৯০) : ১৯৯০ বিশ্বকাপে ক্যামেরুনের অসাধারণ সাফল্যের অন্যতম নায়ক ছিলেন গোলরক্ষক টমাস এনকোনো। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে শুরুতেই সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয় ক্যামেরুন। ঝড়ের গতিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত হয় আফ্রিকান দেশটি। গোলপোস্টে দাঁড়িয়ে অসাধারণ সব সেভ করে ক্যামেরুনকে তাদের সেরা সাফল্য এনে দিয়েছিলেন এনকোনো। তার সেই অসাধারণ পারফরম্যান্স গোলরক্ষক হতে উদ্বুব্ধ করেছিল ১২ বছর বয়সী ইতালিয়ান কিশোর জিয়ানলুইজি বুফনকে। পরবর্তী সময়ে আফ্রিকান এ গোলরক্ষকের নামেই নিজের সন্তানের নাম রেখেছেন বুফন!