Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মেসির গোলে জয় আর্জেন্টিনার

২২ জুন ২০১৪:

ওস্তাদের মার শেষ রাতে ৷শেষ মুহূর্তে জ্বলে উঠলেন লিওনেল মেসি ৷বসনিয়া ম্যাচের পরে ইরানের বিরুদ্ধেও গোল করে দলকে জেতালেন তিনি ৷ শেষ মুহূর্তে গোল করে নিজের অবস্থান জানান দিলেন বার্সেলোনার মহাতারকা৷ এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বকাপে শেষ ষোলোয় পৌঁছে গেল আর্জেন্টিনা ৷

chardike-ad

image_87358_0তবে ইরানের লড়াইয়ের কথা বলতেই হবে ৷ দুরন্ত লড়াকু ফুটবলের নমুনা তুলে ধরল এশিয়ার দেশটি ৷ বিপক্ষে লিওনেল মেসির মতো মহাতারকা থাকলেও একটুও গুটিয়ে ছিল না তারা ৷অনবদ্য রক্ষণ ও প্রতি-আক্রমণের ঝলক দেখিয়ে তারা ফুটবল প্রেমীদের হৃদয় জিতে নিল ৷ আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে পয়েন্ট কাড়তে পারেনি তারা ৷ তিন পয়েন্টও পায়নি ইরান ৷ তবে বিশ্বকাপে এশিয়ার এই দেশটির লড়াই ফুটবল বিশ্ব অনেক দিন মনে রাখবে ৷

আর্জেন্টিনার আক্রমণে লিও মেসি, হিগুয়েন , আগুয়েরোর স্ট্রাইকার ৷ সঙ্গে রয়েছেন ডি মারিয়ার মতো উইঙ্গার ৷ তাই শুরু থেকেই ট্যাকটিক্যাল রক্ষণাত্মক ফুটবল উপহার দিল ইরান ৷ কখনও ডি মারিয়া , কখনও হিগুয়েন, এবার কখনও আগুয়েরো বারবার বাঁ-প্রান্ত, ডান প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠেছেন কিন্তু ইরানের পরিকল্পিত রক্ষণের কাছে হার মেনেছেন আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা ৷ বসনিয়া ম্যাচে দুই স্ট্রাইকারে দলকে খেলিয়েছিলেন সাবেয়া ৷ তাতে অনেক সমালোচনার ঝড় উঠেছিল ৷ স্বয়ং মেসি কোচের স্ট্যাটেজির সমালোচনা করেছিলেন ৷ সাবেয়া অবশ্য এদিন ৪-৩-৩ ছকে তিন স্ট্রাইকারে দলকে খেলিয়েছেন ৷ একেবারে সামনে হিগুয়েন ৷ তার একটু পিছনে মেসি ও আগুয়েরো ৷ এমন ক্ষুরধার আক্রমণেও প্রথমার্ধে ইরানের গোলের মুখ খুলতে পারেনি আর্জেন্টিনা ৷ শুরুতেই হিগুয়েন গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন ৷ ১৮ মিনিটে ডি মারিয়ার উচু শট বাইরে চলে গিয়েছে ৷ এরপর আগুয়েরোর শট অবনদ্য দক্ষতায় বাঁচান ইরানের গোলরক্ষক ৷ সুযোগ পেয়েছিলেন মেসিও ৷ ৩২ মিনিটে তার ফ্রি-কিক অল্পের জন্য বাইরে চলে গিয়েছে ৷ এরপর মেসির ফ্রি-কিক থেকে হিগুয়েনের হেড বাইরে চলে যায় ৷

বিরতির সময় ম্যাচের ফল গোলশুন্যই ছিল ৷ বিরতির পরে ইরান অবশ্য মেসিদের জোর ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করেছে ৷ দ্বিতীয়ার্ধে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে ছোবল মারার চেষ্টা করেছে ইরান ৷ প্রতি-আক্রমণে দু’তিন বার আর্জেন্টিনার রক্ষণ প্রায় ভেঙে দিয়েছিল এশিয়ার দেশটি ৷ দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই প্রায় গোল করে ফেলেছিল ইরান ৷ কিন্তু নীল-সাদা দলের গোলরক্ষক রোমেরো সতর্ক থাকার জন্যই গোলের মুখ খুলতে পারেনি তারা ৷ তবে রোমেরোর মতো ইরানের গোলরক্ষক হাগিজিও অন্যবদ্য গোলরক্ষা করেছেন ৷ মূলত তার জন্যই গোল সংখ্যা বাড়েনি আর্জেন্টিনার ৷৷প্রথমার্ধে মেসি সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি ৷ বিরতির পরে অবশ্য একবার বল নিয়ে দারুণ দৌড় দেখিয়ে প্রমাণ দিলেন তিনিই মেসি ৷ তিন স্ট্রাইকারেও যখন আর্জেন্টিনা গোলের মুখ খুলতে পারছিল না তখন ৭৭ মিনিটে পরপর দুটো পরিবর্তন করেন সাবেয়া ৷ আগুয়েরোর পরিবর্তে লাভেজ্জি ও হিগুয়েনের পরিবর্তে রডরিগোকে মাঠে নামান মেসিদের কোচ ৷ তাতেও একই ছবি দেখা গিয়েছে ৷ বারবার আক্রমণ করছে আর্জেন্টিনা ৷ কিন্তু সেই আক্রমণগুলো বেশ দক্ষতার সঙ্গে প্রতিহত করছেন ইরানের রক্ষণভাগের ফুটবলাররা ৷ আবার কখনও দুরন্ত গোলরক্ষা করছেন হাগিজিও ৷ বিরতির পরেও ফ্রি-কিক সাইড নেটে মেরেছেন মেসি ৷

আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা যখন গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণে উঠেন, তখন প্রতি-আক্রমণে হেডে গোল করার দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন ইরানের পরিবর্ত ফুটবলার আলিরেজা ৷ রোমেরো এই আক্রমণটি বেশ তৎপরতার সঙ্গে বাঁচান ৷ এরপর যখন সবাই ভেবেছে নিশ্চিত পয়েন্ট নষ্ট হতে চলেছে নীল-সাদা দলের ৷ তখন অতিরিক্ত সময়ে বাঁ-পায়ের দুরন্ত শটে গোল করে দলের জয়ের রাস্তা পরিষ্কার করেন লিও মেসি ৷ বসনিয়া ম্যাচে গোল পেলেও এদিন বেশ চাপে ছিলেন মেসি ৷ইরানের বিরুদ্ধে গোল পাওয়ার পরে পরিচিত ছন্দে উৎসবে মেতে উঠেন বার্সেলোনার সুপারস্টার ৷ খবর নতুনবার্তা।