Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সেলফিতে বন্দী হয়ে ‘না ফেরার দেশে’ তিন বোন

নুসরাত জাহান হীরা, ফাতেমা তুজ জোহরা স্বর্ণা আর জান্নাতুন নাঈম লাকি; প্রথম দু’জনের খালাতো বোন তৃতীয় জন। হীরা ছিলেন শিকদার মেডিকেল কলেজের ছাত্রী, স্বর্ণার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল রাইফেলস পাবলিক কলেজ আর লাকি পড়ছিলেন  চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএতে। পরিচয়ে অতীত কাল ব্যবহার করতে হচ্ছে কারণ মানুষগুলোই এখন অতীত। তিন বোনের আরও একটা বড় পরিচয় তাঁরা ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের ভাগ্নী। সোমবার প্রায় তিনশ যাত্রী নিয়ে পদ্মায় ডুবে যাওয়া লঞ্চটার হতভাগ্য যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন এই তিন বোনও। যুগের চল ‘সেলফি’তে ভরা ফেসবুকের হোমপেইজে তিন বোনের হাস্যজ্জ্বল এক সেলফি এখন তাঁদের বন্ধু-স্বজনদের দীর্ঘশ্বাস হয়ে ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির এক পাতা থেকে অন্য পাতায়।

selfi_three_sisters
ছবিটি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হীরার লাশ উদ্ধার করা হলেও খোঁজ মেলে নি অপর দু’ বোনের। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ডুবে যাওয়া লঞ্চে তিন ভাগ্নির অবস্থানের কথা গণমাধ্যমকে জানান নৌমন্ত্রী। ঈদ শেষে ‍তিন বোন একসাথে বাড়ি থেকে ফিরছিলেন ঢাকায়। সোমবার সকালে মাদারীপুর শিবচর থেকে ভ্যানগাড়ি করে কাওড়াকান্দি লঞ্চ ঘাটে আসার পথেই নিজেদের জীবনের শেষ ছবিটি তোলেন তাঁরা। সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ছবিটি ‘অন দ্য ওয়ে সিস্টার জার্নি’ শিরোনামে সেটি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে প্রকাশ করেন লাকি।

chardike-ad

সোমবার বেলা ১১টায় পদ্মা নদীতে মাওয়া ঘাটের শ’খানেক গজ দূরত্বে প্রায় তিনশ যাত্রী নিয়ে তলিয়ে যায় পিনাক-৬ লঞ্চটি। জনা পঞ্চাশেক যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠে আসলেও বাকীদের কেউ আর বেঁচে নেই বলেও ধরে নিতে হচ্ছে। ডুবে যাওয়ার ত্রিশ ঘণ্টা বাদেও বৈরি আবহাওয়ার কারণে লঞ্চটির অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয় নি।