শুক্রবার । ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
স্পোর্টস ডেস্ক খেলা ২০ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৮ অপরাহ্ন
শেয়ার

মিরপুরের উইকেট নিয়ে প্রশ্ন তুললেন পাকিস্তান অধিনায়ক


মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট দীর্ঘদিন ধরেই স্পিন সহায়ক হিসেবে পরিচিত। এই মাঠে প্রায় সব ফরম্যাটেই ধীরগতির পিচে খেলে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কৌশল নেয় বাংলাদেশ দল। আধুনিক ক্রিকেট যখন ব্যাট-বল দুই পক্ষের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ ‘স্পোর্টিং উইকেট’-এর পক্ষে, তখন সেই পুরোনো রণকৌশলেই ফিরেছে বাংলাদেশ। ফলও পেয়েছে লিটন দাসের দল—পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ শুরু করেছে দারুণভাবে।

তবে ম্যাচের ফলের চেয়ে বেশি আলোচনায় মিরপুরের উইকেট। খেলা শেষে এর ন্যায্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা। বৃষ্টির কারণে প্রস্তুতি পর্যায়েই উইকেট ছিল কভারের নিচে, যে কারণে যথেষ্ট শঙ্কাও ছিল। এমনকি বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাসও সিরিজের আগে চেয়েছিলেন স্পোর্টিং উইকেট। কিন্তু মাঠে দেখা গেছে তার বিপরীত চিত্র।

মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান ও তানজিম সাকিবের টাইট লাইন-লেংথে ধসে পড়ে পাকিস্তানি ব্যাটিং। মুস্তাফিজের এক কাটারে বল নিচু হয়ে যাওয়া ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্টগুলোর একটি। ব্যাটিং ধসে মাত্র ১১০ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। জবাবে হৃদয় ও ইমনের কার্যকর ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

ম্যাচ শেষে উইকেট নিয়ে সরব ছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে খেলতে এলে এমন উইকেটের জন্য প্রস্তুত থাকতেই হয়। এখানে খুব কম সময় ভালো ব্যাটিং উইকেট পাওয়া যায়। তবে বিষয়টি নিয়ে আমাদের দলে আলোচনা করতে হবে।”

সালমান আলী আরও বলেন “আমরা ভালো শুরু করলেও ধারাবাহিক উইকেট হারিয়েছি। রান তুলতে পারিনি পর্যাপ্ত। এবার বিশ্লেষণ করে পরের ম্যাচে ফিরতে চাই।”

পাকিস্তানের প্রধান কোচ মাইক হেসন উইকেট নিয়ে আরও খোলামেলা কথা বলেন। তার মতে, এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এমন উইকেটে খেলে বাংলাদেশ হয়তো জিতবে, কিন্তু ক্রিকেটীয় মান উন্নত হবে না।

হেসন বলেন, “না, এই উইকেট কোনো দলের জন্যই সহায়ক নয়। যদি কেউ এশিয়া কাপ বা বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিতে চায়, তাহলে এমন উইকেট গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন মানহীন পিচ থাকাটা হতাশাজনক।”

তিনি আরও বলেন, “আমি বলছি না বাংলাদেশ কীভাবে সব কিছু পরিচালনা করবে। তবে উন্নত ক্রিকেটের জন্য উন্নত উইকেট জরুরি। বিপিএলের সময়ও আমরা অনেক ভালো উইকেট দেখেছি, কিন্তু আন্তর্জাতিক ম্যাচে সেই মান প্রায়ই থাকে না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য এটি আদর্শ নয়।”