
ইসরায়েলি বর্বরতায় মাটিতে মিশে যাওয়া গাজা উপত্যকা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো অন্তত ৬১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। চিকিৎসাসূত্র জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১৯ জন ছিলেন ত্রাণ সংগ্রহের জন্য অপেক্ষমাণ।
এদিকে গাজা সিটির পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বোমা হামলা আরও তীব্র হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ অবস্থায় গাজা সিটিতে নতুন করে স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। আন্তর্জাতিক মহলের পুনর্বিবেচনার আহ্বান সত্ত্বেও ইসরায়েল এই পরিকল্পনা থেকে সরে আসেনি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, অভিযানে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে এবং আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি আবারও বাস্তুচ্যুত হতে পারেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বলেছেন, এ ধরনের সামরিক পদক্ষেপ যুদ্ধকে নতুন ও ভয়াবহ ধাপে নিয়ে যাবে। তার মতে, গাজা সিটিতে বিস্তৃত অভিযান বিপর্যস্ত জনগণের জন্য আরও ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। এতে মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত লাখো মানুষ আবারও পালাতে বাধ্য হবে এবং পরিবারগুলো আরও গভীর সংকটে পড়বে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুজাইয়া, জেইতুন ও সাবরা এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী বোমা হামলা শুরু করলে মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে থাকে। বেশিরভাগই নিরাপত্তার খোঁজে উপকূলের দিকে ছুটে যায়।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানায়, জেইতুনের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি অভিযানে ১,৫০০-এরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। সেখানে আর কোনো ভবন অক্ষত নেই। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা গাজা সিটিকে হামাসের “সর্বশেষ দুর্গ” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।


































