
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা (৩৯) স্থায়ীভাবে পদচ্যুত হয়েছেন। নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে শুক্রবার দেশটির সাংবিধানিক আদালত তাকে অপসারণের রায় দিয়েছে।
আদালত জানায়, গত জুনে কাম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে ফোনালাপে পেতংতার্ন জাতীয় স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেন, যার ফলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই অভিযোগেই তাকে ক্ষমতা থেকে সরানো হলো।
ফাঁস হওয়া কথোপকথনে শোনা যায়, পেতংতার্ন হুন সেনকে “চাচা” সম্বোধন করে তোষণমূলক মন্তব্য করেন এবং এক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাকে “প্রতিপক্ষ” হিসেবে অভিহিত করেন।
গত ১ জুলাই মামলার শুনানি চলাকালে আদালত তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল। এর মধ্যেই সীমান্ত বিরোধ রক্তক্ষয়ী সংঘাতে রূপ নেয়, যেখানে কয়েক ডজন মানুষের প্রাণহানি ঘটে এবং হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। অবশেষে ২৯ জুলাই মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়।
রায়ের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পেতংতার্ন দাবি করেন, দেশের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেছেন তিনি। তার ভাষায়, “আমার উদ্দেশ্য ছিল দেশের মঙ্গল, ব্যক্তিগত লাভ নয়। আমি দেশের নাগরিক ও সৈন্য উভয়কে বাঁচাতে চেয়েছিলাম। আজকের রায় থাই রাজনীতিতে নতুন অধ্যায় খুলল। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সরকার, বিরোধী দল ও জনগণকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের পর এ নিয়ে পাঁচজন থাই প্রধানমন্ত্রী আদালতের রায়ে ক্ষমতাচ্যুত হলেন।
সূত্র: রয়টার্স


































