
নরেন্দ্র মোদি (বাঁয়ে) ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি: রয়টার্স
‘দ্য নোবেল প্রাইজ অ্যান্ড আ টেস্টি ফোন কল: হাউ দ্য ট্রাম্প-মোদি রিলেশনশিপ আনরাভেল্ড’ শিরোনামের বিশ্লেষণে বলা হয়, ট্রাম্প গত ১৭ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোনে জানিয়েছিলেন তিনি ভারতে আসবেন। কিন্তু দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েন সেই পরিকল্পনায় ছেদ টেনেছে।
তবে ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লি, কোনো পক্ষ থেকেই এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা নেওয়ার পরদিনই কোয়াডভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক আয়োজন করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। তখনই সিদ্ধান্ত হয়, বছরের শেষ দিকে শীর্ষ সম্মেলন হবে ভারতে। কিন্তু সাম্প্রতিক উত্তেজনায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অনিশ্চিত হয়ে গেছে।
বিশ্লেষণে জানানো হয়, মে মাসে ভারত–পাকিস্তানের চার দিনের সংঘাত বন্ধে নিজেকে মধ্যস্থতাকারী দাবি করে আসছিলেন ট্রাম্প। পাকিস্তান তা স্বীকার করলেও ভারত প্রকাশ্যে অস্বীকার করেছে। তবু ১৭ জুন ফোনালাপে ট্রাম্প সেই দাবির পুনরাবৃত্তি করলে মোদি ক্ষুব্ধ হন।
এর আগে কানাডায় জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতার বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও ট্রাম্প আগেভাগে দেশে ফেরায় তা হয়নি। সেই কারণেই ১৭ জুন ফোনালাপ হয়, যা ৩৫ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল। কিন্তু সম্পর্ক ঘোচানোর বদলে তা আরও তিক্ত করে তোলে।
শুধু রাজনৈতিক টানাপোড়েন নয়, বাণিজ্য ইস্যুও সম্পর্ক খারাপ করেছে। ভারতের পণ্যে অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন, যা কার্যকর হয়েছে গত বৃহস্পতিবার থেকেই।


































