শুক্রবার । ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক আন্তর্জাতিক ৩১ অগাস্ট ২০২৫, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

ভয়েস অব আমেরিকার ৫ শতাধিক সাংবাদিক ছাঁটাই করছে ট্রাম্প প্রশাসন


Voice-of-America

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত আন্তর্জাতিক সম্প্রচারমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা (ভিওএ)-তে ব্যাপক কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এই প্রক্রিয়ায় ৫০০-র বেশি সাংবাদিক চাকরি হারাতে যাচ্ছেন। শনিবার (৩০ আগস্ট) ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান জানায়, হোয়াইট হাউস দীর্ঘদিন ধরে ভিওএ-কে ‘উগ্রপন্থি প্রচারণা চালায়’ বলে সমালোচনা করে আসছিল। এবার সংস্থাটিকে সীমিত করে আনার অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেওয়া হলো। ভিওএ-র মূল সংস্থা ইউএস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়া (ইউএসএজিএম)-এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান কারি লেক এক বিবৃতিতে জানান, এই সিদ্ধান্তে ফেডারেল আমলাতন্ত্র হ্রাস পাবে, সংস্থার কার্যকারিতা বাড়বে এবং করদাতাদের অর্থ সাশ্রয় হবে। তবে সাংবাদিক ইউনিয়ন বিষয়টিকে অবৈধ আখ্যা দিয়েছে।

ইউএসএজিএম-এর তথ্য অনুযায়ী, মোট ৫৩২টি পদ বিলুপ্ত করা হবে। এর মধ্যে অধিকাংশই ভয়েস অব আমেরিকার আওতাভুক্ত। ফলে সংস্থাটিতে শেষ পর্যন্ত মাত্র ১০৮ জন কর্মী অবশিষ্ট থাকবেন। এর আগে গত জুনে কারি লেক ৬৩৯ কর্মীকে ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে প্রশাসনিক ত্রুটির কারণে নোটিশ প্রত্যাহার করতে হয়। কিছু কর্মী আদালতে মামলা করলে সাময়িক স্থগিত হয় এ প্রক্রিয়া। সম্প্রতি আদালতের এক রায়ে বলা হয়, ভিওএ-র পরিচালক মাইকেল আব্রামোভিটজকে অপসারণে প্রশাসন সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি। একইসঙ্গে কারি লেককে আইনজীবীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে বলা হয়। রায়ের পরপরই শুক্রবার রাতে নতুন করে ব্যাপক ছাঁটাইয়ের ঘোষণা আসে।

একদল কর্মী ভিওএ বন্ধের প্রচেষ্টা ঠেকাতে আদালতে মামলা করেন। তাদের দাবি—“কারি লেকের ধারাবাহিক আক্রমণ ঘৃণ্য। তিনি কংগ্রেস নির্ধারিত নিয়ম মেনে সংস্থাটি ভাঙতে চেয়েছিলেন কি না—সেটি আদালতের জবানবন্দিতে স্পষ্ট হবে।” খবরে আরও জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ থেকে অধিকাংশ সাংবাদিক প্রশাসনিক ছুটিতে থাকলেও ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ শুরুর পর কিছু ফারসি ভাষার সাংবাদিককে কাজে ডাকা হয়। তবে কিউবা সম্প্রচার বিভাগ—যা মায়ামি থেকে স্প্যানিশ ভাষায় সম্প্রচার চালায়—এই ছাঁটাইয়ের আওতায় আসছে না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি প্রচারণা মোকাবিলায় প্রতিষ্ঠিত ভয়েস অব আমেরিকা বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম হিসেবে পরিচিত।