
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে পাকিস্তান সীমান্তের কাছে রোববার (৩১ আগস্ট) রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬। এখন পর্যন্ত ২০ জনের বেশি প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে, তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিবিসির খবরে জানানো হয়েছে, নানগারহার ও কুনার প্রদেশে ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন অন্তত ১১৫ জন, যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ৮ কিলোমিটার গভীরে। এরপর অন্তত তিনটি আফটারশক অনুভূত হয়েছে, যার মাত্রা ছিল ৪.৫ থেকে ৫.২ এর মধ্যে।
কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে রাজধানী কাবুল এবং প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরের ইসলামাবাদেও কম্পন অনুভূত হয়।
ভৌগলিক কারণে ভূমিকম্পপ্রবণ আফগানিস্তানে গত তিন দশকে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। ১৯৯১ সালে হিন্দুকুশে ভূমিকম্পে আফগানিস্তানসহ প্রতিবেশী অঞ্চলে ৮৪৮ জনের মৃত্যু হয়। ১৯৯৭ সালে সীমান্তবর্তী ইরানের খোরাসানে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রাণ হারান দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ এবং ধ্বংস হয় ১০ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি। এ ঘটনায় আফগানিস্তানেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।
১৯৯৮ সালে আফগানিস্তানের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় তাখার প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে আফগানিস্তান ও তাজিকিস্তানে প্রায় ৪ হাজার মানুষ নিহত হন। এর মধ্যে কেবল আফগানিস্তানেই প্রাণ যায় প্রায় ২ হাজার ৩০০ জনের।


































