ধারণক্ষমতা ছাড়িয়ে যাওয়ায় বেইজিংয়ের দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ কার্যক্রমের সূচনা হয়েছে। চীনের সরকারি গণমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ হয়। খবর এএফপি।
সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলছে, প্রকল্পটি শেষ হলে ২০২৫ সাল নাগাদ বিমানবন্দরটিতে বার্ষিক ৭ কোটি ২০ লাখ যাত্রী চলাচল এবং ৬ লাখ ২০ হাজার ফ্লাইট পরিচালনা করা যাবে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ বিলিয়ন ইউয়ান (১৩ বিলিয়ন ডলার) এবং নির্মাণকাল পাঁচ বছর। চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা সংস্থা দ্য ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিফর্ম কমিশন এ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।
অর্থনীতির সম্প্রসারণে দিন দিন চীনের বিমানবন্দরগুলোর ধারণক্ষমতা পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। সিনহুয়ার দেয়া তথ্যমতে, বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর হচ্ছে বেইজিং ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। পাশাপাশি বিমান উড্ডয়নে বিলম্বের দিকে দিয়ে এটি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয়ও। ২০১৩ সালের এক প্রতিবেদন অনুসারে, এ বিমানবন্দরে ২০ শতাংশের কম ফ্লাইট সঠিক সময়ে টেক অফ করতে পারে। এ বিমানবন্দর থেকে টেক অফ করতে যাওয়া বিমানগুলোর ৪২ শতাংশই গড়পড়তায় ৪৫ মিনিট বা তারও বেশি সময় দেরি করে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের পক্ষে আর অতিরিক্ত দৈনিক ৩০০ ফ্লাইট ও ১ কোটি যাত্রী পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন এ বিমানবন্দর নির্মাণ কার্যক্রমে সরাসরি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে ৩ লাখ এবং প্রায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে।
চলতি মাসে বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস জানায়, অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী চলাচলের ভিত্তিতে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে সবচেয়ে বড় বাজারে পরিণত হবে চীন।