Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ভাইবারে কি তৃতীয় পক্ষের রেকর্ড সম্ভব?

viberমাহমুদুর রহমান মান্না এবং সাদেক হোসেন খোকার ভাইবার কথোপকথন ফাঁস নিয়ে আবারও উত্তপ্ত দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। তবে এখানে একটি প্রশ্ন সবার মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে। ভাইবার ফোনালাপে কি আড়িপাতা যায়? আর যদি আড়িপাতা না-ই যায়, তাহলে তাদের ফোনালাপ ফাঁস করলো কে?

ভাইবার মূলত একটি ভিওআইপি অ্যাপ। দুই প্রান্তের কথোপকথন এনক্রিপ্টেড অবস্থায় এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে পৌঁছায় এ ধরণের সফটওয়্যারে। ফলে এখানে মধ্যপথে আড়িপাতা সম্ভব নয় বলেই মত দিচ্ছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য যোগাযোগ করা হয় ভাইবার কর্তৃপক্ষের সাথে। ভাইবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভাইবারের দুই পক্ষের কথোপকথনে তৃতীয় পক্ষের এক্সেস সম্ভব নয়। যদিও তারা আগে একটি ত্রুটির কারণে কিছু ম্যাসেজের ডেটা ফাঁস হয়ে গিয়েছিল বলে স্বীকার করেছে। ভাইবার বলছে, এই ত্রুটি দূর করতে আমাদের পক্ষ থেকে জোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আমাদের ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেম অত্যাধুনিক এনক্রিপশনের মাধেমে সম্পূর্ণ নিরাপদ।

chardike-ad

ভাইবার থেকে পাঠানো উত্তরটি পাঠকদের জন্য হুবহু দেওয়া হলো – Viber: We have found no evidence to support the claim that any third party is able to access Viber. In the past, we found a flaw that exposed some media message data. We have since taken aggressive steps to correct this flaw. Today, our data communications systems are extremely secure and messages are protected by state-of-the-art encryption. User privacy is at the foremost of our concerns and we are continuously improving measures to enhance communication security with every version release. We would greatly appreciate if you are to send us some information of these recent events in Bangladesh, specifically information published in your country’s media. This is to allow us to investigate any privacy and security claims and in general, to help us to further increase our users’ privacy and reliance on Viber.

তবে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাইবার ফোনালাপ করার জন্য রয়েছে অন্য কিছু উপায়। এর মধ্যে আছে কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির স্মার্টফোনে স্পাইওয়্যার ইন্সটল করে দেওয়া যার মাধ্যমে ফোনের সকল তথ্য পাওয়া সম্ভব, তাও আবার দূর থেকেই। আর সম্প্রতি সরকার অনেক টাকা খরচ করে মোবাইল ফোনে নজরদারি সরঞ্জাম স্থাপন করেছে। অনেকে মনে করছেন, ভাইবার ফোনালাপে এই সরঞ্জাম ব্যবহার করেই আড়িপাতা হয়েছে।

তবে এই ক্ষেত্রে একটি বিষয় সামনে চলে আসছে। আর সেটি হল, স্মার্টফোনের অ্যাপ স্টোরে এমন অনেক অ্যাপ রয়েছে যার মাধ্যমে ভাইবার, স্কাইপ কিংবা অন্য আরও কিছু অ্যাপের কথোপকথন রেকর্ড করা সম্ভব। এক্ষেত্রে অন্য পক্ষ গুনাক্ষরেও জানতে পারবে না যে তাদের ফোনালাপ রেকর্ড করা হচ্ছে। এখেত্রেও কি এমনটাই ঘটেছে?