বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে বাজেভাবে পরাজয়। এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয়। এই তিন ম্যাচের একটিতেও ব্যাটিংয়ে ভাল করতে পারেনি পাকিস্তান।
অবশেষে ভক্তদের ছন্দময় ব্যাটিং উপহার দিল পাকিস্তান। যদিও প্রতিপক্ষটা দুর্বল আরব আমিরাত! বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে আরব আমিরাতের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩৩৯ রানের বড় স্কোর গড়েছে মিসবাহ-উল-হকের দল।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯৩ রান করেছেন ওপেনার আহমেদ শেহজাদ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭০ রান আসে হারিস সোহেলের ব্যাট থেকে। আরব আমিরাতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন মানজুলা গুরুজি।
বুধবার নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে টস হেরে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। কিন্তু এদিনও শুরুটা ভাল হয়নি তাদের। দলীয় ১০ রানে ওপেনার নাসির জামশেদের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে পাকিস্তান। জামশেদকে খুররম খানের ক্যাচ বানিয়ে বিদায় করেন মানজুলা গুরুজি। আগের ম্যাচে ১ রান করা জামশেদ এদিনও ব্যর্থ। এদিন করেন ৪ রান। শেষ তিন ওয়ানডে মিলে তার সংগ্রহ মাত্র ৫ রান!
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন আহমেদ শেহজাদ ও হারিস সোহেল। আর এই দুজনের ব্যাটেই মূলত ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। দ্বিতীয় উইকেটে শতরানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন শেহজাদ-হারিস।
দলীয় ১৭০ রানে ব্যক্তিগত ৭০ রান করে বিদায় নেন হারিস। ফলে শেহজাদ-হারিসের ১৬০ রানের বড় জুটি ভাঙে। হারিস বিদায় নিলেও বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন শেহজাদ। কিন্তু ইনিংসের ৩৫তম ওভারে রানআউটের শিকার হন এই ওপেনার।
আরব আমিরাতের বোলার মোহাম্মদ নাভেদের করা অফ স্ট্যাম্পের বাইরের একটি বল পয়েন্টে কাট করেন শেহজাদ। দৌড়ে সহজেই ১ রান নিয়ে ফেলেন তিনি। কিন্তু ২ রান নিতে গিয়ে রানআউটের শিকার হন এই ওপেনার। ১০৫ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় ৯৩ রান করেন শেহজাদ। অবশ্য দুইবার জীবন ফিরে পেয়ে এই ইনিংস খেলেন তিনি।
শেহজাদের বিদায়ের পর চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৭৫ রান সংগ্রহ করেন শোয়েব মাকসুদ ও মিসবাহ-উল-হক। দলীয় ২৫১ রানে ব্যক্তিগত ৪৫ রান করে গুরুজির বলে রোহান মোস্তফার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাকসুদ। তবে পঞ্চম উইকেটে উমর আকমলকে নিয়ে ৬১ রানের আরেকটি বড় জুটি গড়েন মিসবাহ।
ইনিংসের ৪৯তম ওভারে গুরুজির করা পর পর দুই বলে বিদায় নেন উমর-মিসবাহ। ১৩ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৯ রান করেন উমর। আর মিসবাহ ৪৯ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৬৫ রান করেন। এরপর শহীদ আফ্রিদির ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটে ৩৩৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। ৭ বলে ২ ছক্কা ও এক চারে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন আফ্রিদি।