Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড জয়

australiaবিশ্বকাপ ক্রিকেটের চলতি আসরে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়ও এটি। আগেরটি ছিলো ২৫৭ রানের। ভারতের। ২০০৭ বিশ্বকাপে তারা হারিয়েছিলো বারমুডাকে। আর ওয়ানডে ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়। ২৯০ রানের সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়টি নিউজিল্যান্ডের। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে, ২০০৮ সালে।

ডেভিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরি। রেকর্ড গড়া ১৭৮ রান। স্টিভেন স্মিথের সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ মাখা ৯৫ রান। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বিধ্বংসী ৮৮ রান। এর প্রতিটি মিলে আফগানিস্তানের সামনে দাঁড়িয়ে যায় রানের পাহাড়। যে পাহাড়ের নীচে আফগানিস্তানের চাপা পড়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকেনি। ইতিহাস গড়া ৪১৭ রান তাড়া করার সাহস বা সামর্থ্য কোনোটাই ছিলো না আফগানদের। তবু তারা লড়ে নিজেদের মতো করে। তবে ১৪২ রানে গুটিয়ে যায়। ২৭৫ রানের জয় নিয়ে অস্ট্রেলিয়া হাসে তৃপ্তির হাসি। রেকর্ড গড়া এত বড় জয় তো প্রতিদিন মেলে না! অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়।

chardike-ad

পাহাড়ের শিখরে চলে যাওয়া রান তাড়া করা যায়না। এই বাস্তবতা মেনে ব্যাট করতে নেমে ৪৬ রানেই তিন উইকেট হারায় আফগানরা। চতুর্থ উইকেটে নওরোজ ও শেনওয়ারি গড়েছিলেন ৪৮ রানের জুটি। ৪৬ রানে তিন উইকেট হারানোর পর ভালোই প্রতিরোধ গড়েছিলেন তারা। কিন্তু শেনওয়ারিকে (১৭) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙ্গেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ক্লার্ক। এরপর একই রানে জনসনের বলে স্লিপে ফিঞ্চের দুর্দান্ত ক্যাচ হয়ে ফিরে আসতে হয় নওরোজকে (৩৩)। এখান থেকেই ধুঁকতে শুরু করে আফগানরা। এরপর স্টার্ক জোড়া আঘাত হানেন। তাতে ৮ উইকেট হারিয়ে বিশাল হারের পথে চলে যায় আফগানিস্তান। সেই পথ থেকে তাদের ফেরা হয়নি। তাদের দলীয় সর্বোচ্চ ৩৩ নওরোজের। নাজিবুল্লা করেছেন ২৪ রান। আর বলার মতো কিছু নেই।

আফগানিস্তান টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। তাদের অধিনায়ক বলেছিলেন, ময়েশ্চারকে কাজে লাগাতে চান। কিন্তু ইনিংস শেষে দেখা গেল সব সুবিধাকে অস্ট্রেলিয়াই কাজে লাগালো। একের পর এক রেকর্ড ভাংলো। আফগানদের বিপক্ষে রেকর্ডের ম্যাচ হয়ে গেলো অস্ট্রেলিয়ার।