Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আবারও ইংল্যান্ড আবারও ইমরুল

Imrul-Kayes

নিয়তির চাকা কোনদিক থেকে কিভাবে ঘুরে তার কোন ঠিক নেই। ঘুর্ণাক্ষরেও কি ইমরুল কায়েস ভেবেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিমান ধরতে হবে তাকে! কিন্তু কী আশ্চর্য সেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিতেই নিয়তি তাকে ঠিক করে রেখেছিল ব্যাট হাতে ইনিংস ওপেন করার জন্য!

chardike-ad

না হলে কেনই বা স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে কাইল কোয়েৎজারের চার বাঁচাতে গিয়ে এভাবে ঝাঁপিয়ে পড়বেন এনামুল হক বিজয়? কেনই বা কাঁধের হাঁড় সরে যাবে এবং মাঝ পথেই বিশ্বকাপ শেষ করে দেশে ফিরে আসতে হবে তাকে!

ওই যে নিয়তির খেলা! সত্যিই। গত বিশ্বকাপের কথা নিশ্চয় সবার মনে থাকবে। চট্টগ্রামে ইংলিশদের মুখোমুখি হলো বাংলাদেশ। যারা তার আগের তিন ম্যাচেই জন্ম দিয়েছিল থ্রিলারের। একটাতে ৩৩৮ করেও ভারেরত সঙ্গে ম্যাচ টাই করতে হয়েছে। আরেকটাতে করেছিল ৩২৭। অথচ এত বড় স্কোর গড়েও জিততে পারেনি। আইরিশদের কাছে হেরে গিয়েছিল। তার পরের ম্যাচে ১৭৯ করেও হারিয়ে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে।

চট্টগ্রামে বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়ে অবশ্য বেশি দুর যেতে পারেনি। করেছিল মাত্র ২২৫ রান। কিন্তু আজমল শেহজাদ আর টিম ব্রেসনানদের সামনে এই ২২৫ রানই বাংলাদেশের জন্য হয়ে উঠেছিল বিশাল স্কোর। তবুও ওপেনার ইমরুল কায়েসের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত জয়ের ভিত পায় বাংলাদেশ। যেটাকে শেষ পর্যন্ত বাস্তবতায় রূপান্তরিত করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আর শফিউল ইসলাম। ৬০ রান করা ইমরুল কায়েস জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

চার বছর পর আবারও বিশ্বকাপ। তবে এবার প্রাথমিক ৩০ জনের দলে থেকেও চূড়ান্ত ১৫ জনের দলে ঠাঁই পেলেন না ইমরুল। যে কারণে হতাশাও বিরাজ করে তার মধ্যে। শেষ পর্যন্ত এনামুল হক বিজয়ের ইনজুরির কারণে কপাল খুলল ইমরুলের। ধরলেন অস্ট্রোলিয়ার বিমান।

অ্যাডিলেডে ৯ মার্চ ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের ওপরই নির্ভর করছে বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনাল ভাগ্য। এই ম্যাচের আগেই যেভাবে হোক সুযোগ পেয়ে গেলেন ইমরুল। এবার তার নিজেকে প্রমান পালা। প্রিয় প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চার বছর আগের সেই ক্যারিশমা দেখিয়ে তিনি কী পারবেন আরেকটা জয় এনে দিতে বাংলাদেশকে?

সেই প্রতিশ্রুতিই শোনা গেলো ইমরুলের কণ্ঠে, ‘এনামুল দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাদ পড়ায় আমি সুযোগ পেয়েছি। আসলে এটা নিয়ে এখন আর ভাবছি না। আমার চিন্তা, প্রতিদান দিতে পারব কিনা তা নিয়ে। চেষ্টা করব সুযোগের প্রতিদান দেয়ার। অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে ভাল খেলার। চেষ্টা থাকবে নিজের সেরাটা ঢেলে দেয়ার।