পূর্বএশিয়া সফরের শেষে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদি এখন দক্ষিণ কোরিয়ায়। সেখানে তিনি দেশটির রাষ্ট্রপতি পার্ক গুন হে’র সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় মিলিত হন। বৈঠকে উভয় নেতা দুই দেশের সুসম্পর্ককে আরও তরান্বিত করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
উভয় দেশের শীর্ষ দুই নেতৃবৃন্দ সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ কৌশলগত অংশীদারিত্বের উদ্দেশ্যে আগামী বছরের মধ্যে মুক্ত পণ্য বাণিজ্যের চুক্তিটিকে সংশোধন করে সময় উপযোগী করতে একমত হয়েছেন। ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তিটি(সিইপিএ) করা হয় ২০১০ সালে। আজ দুই দেশের সরকার প্রধানের আলোচনার পর প্রকাশিত হওয়া এক যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে জানা যায় গুণগত ও পরিমাণগত বাণিজ্যের কথা চিন্তা করে পার্ক গুন হে ও নরেন্দ্র মোদি ২০১৬ সালের জুন মাস নাগাদ সিইপিএ চুক্তিটির সংশোধনে রাজি হয়েছেন।
গত বছর ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে প্রায় ১৮.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। সংশোধনী চুক্তি বাস্তবায়িত হলে জাপানের যে পরিমাণ পণ্য ভারতের বাজারে প্রবেশ করে, সেই সমপরিমাণ দক্ষিণ কোরীয় পণ্যও ১.২ বিলিয়ন জনসংখ্যার দেশটিতে প্রবেশ করার সুযোগ পাবে।
উল্লেখ্য ২০১১ সালে জাপান ও ভারতের মাঝে অনুরূপ একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সম্পর্কে গতি আনতে দুই দেশ প্রতি বছরে নিজেদের মধ্যে আলোচনা এবং প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক ভাইস মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ব্যপারেও একমত হয়।
নরেন্দ্র মোদি দক্ষিণ কোরিয়াকে ভারতের অন্যতম অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করেন। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজ নির্মাণ শিল্প, ইলেক্ট্রনিক্স, মেশিনারি ইন্ডাস্ট্রিসহ বিভিন্ন খাতে তার দেশের আগ্রহের কথা জানান।
রাষ্ট্রপতি পার্ক গুন হে’ও পারস্পারিক সহযোগিতার উদ্দেশ্য ভারতের কাঠামোগত উন্নয়নসহ রেল ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১০ বিলিয়ন ইউএস ডলার প্রদানের ইচ্ছা পোষণ করেন।