Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ঢেলে সাজানো হচ্ছে পাসপোর্ট ও ভিসা ব্যবস্থাপনা

pasportআন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের অবাধ গমনাগমন নিয়ন্ত্রণে পাসপোর্ট ও ভিসা জালিয়াতি রোধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ও মেশিন রিডেবল ভিসা প্রবর্তন ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজানো হচ্ছে।

বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীরা যাতে করে অবাধে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে, সেই লক্ষ্যে এর মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

chardike-ad

এজন্য বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরে একটি কেন্দ্রীয় ইস্যু সেন্টার, জেলা ও উপজেলাভিত্তিক ৬৭টি আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট অফিস, ১৬টি ভিসা সেল, ৩৩টি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট, ৭০টি এসবি অফিস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ৬৫টি বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে অনলাইন কানেকশন স্থাপন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর ফলে পাসপোর্ট জালিয়াতি করে এক জনেরটা অন্যজন ব্যবহার করতে পারবে না।

চলমান ‘মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) এবং মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি)’ প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়িয়ে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রথমে সংশোধিত চলমান এ প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৪শ’ ৭৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। কিন্তু প্রকল্পে নতুন কাজ যুক্ত হওয়ায় এর ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭শ’ ১০ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

এছাড়া প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন ধরনের আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনা ও স্থাপন করা হয়েছে। একটি কেন্দ্রীয় ডাটাবেজ স্থাপনসহ একটি ডিজাস্টার রিকভারি সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এক কথায় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নিয়ন্ত্রণে পাসপোর্ট ও ভিসা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এন এম জিয়াউল আলম বলেন, চলমান প্রকল্পের আওতায় ঢেলে সাজানো হয়েছে পাসপোর্ট ও ভিসা প্রসেসিং ব্যবস্থায়। ৬৭টি জেলা ও উপজেলা আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট অফিসে অনলাইন কানেকশন দেয়া হয়েছে। এমনকি লন্ডন, নিউইয়র্কের মতো ৬৫টি বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনের মধ্যে ৬২টিতে অনলাইন কানেকশন স্থাপন করা হয়েছে। এতে করে কোনো পাসপোর্টধারী একাধিক পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারবেন না। এমনকি চাইলেও একজনের পাসপোর্ট অন্যজন ব্যবহার করতে পারবে না।

পাসপোর্ট অধিদফতের ডিজি আরও বলেন, পাসপোর্ট ও ভিসা ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অফিসের সঙ্গে অনল‍াইন কানেকশনের ফলে একাধিক জন এটি ব্যবহার করতে পারবে না। পাসপোর্ট ও ভিসা অন্য কেউ ব্যবহার করতে চাইলে, সে যেই হোক না কেন, দ্রুত সময়ে তাকে শনাক্ত করা যাবে।

নানা গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইসিএও) নির্দেশনা অনুযায়ী, পয়লা এপ্রিল ২০১০ সালের মধ্যে এমআরপি চালু করার বাধ্যবাধকতা থাকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এমআরপি ও এমআরভি প্রবর্তন করেছে।

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের অবাধ গমনাগমন নিয়ন্ত্রণে পাসপোর্ট ও ভিসার জালিয়াতি রোধে কঠোর পন্থা অবলম্বন করার লক্ষ্যে সরকার প্রকল্পটি চালুর পর নতুনভাবে পরবর্তী সময়ে এর ব্যয় বৃদ্ধি করে।

পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্র থেকে জানা গেছে, নানা ধরনের প্রচেষ্টায় পাসপোর্ট ও ভিসা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে। প্রকল্পটি জুলাই ২০০৯ সালে ২শ’ ৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হয়েছিল। বর্তমানে এর ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৭শ’ ১০ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এ বছরই প্রকল্পের সময়সীমা শেষ হয়েছে। এর ফলে পাসপোর্ট অধিদফতর থেকে নতুন নতুন সুযোগ সুবিধা ভোগ করবেন দেশবাসী।

সূত্রঃ বাংলানিউজ