কোরিয়াতে গ্রীষ্মের এই রমজানে সেহ্রী আর ইফতারের মধ্যে প্রায় ১৭ থেকে ১৮ ঘণ্টার ব্যবধান৷ অর্থাৎ এখানে রোজা রাখা মানেই এই লম্বা সময় আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের আশায় পানাহার থেকে বিরত থাকা৷ বিশেষ করে, যাঁরা শারীরিক পরিশ্রম করেন তাঁদের জন্য অবশ্যই রোজা পালন করা খুব কঠিন৷ কিন্ত তারপরও এই কষ্টকে উপেক্ষা করে অনেক বাংলাদেশি প্রবাসীরা এই কঠিনতম কাজটি করছেন স্বাচ্ছন্দ্যের সহিত। তাছাড়া বাংলাদেশের মত নেই রমজানের আমেজ, নেই তাড়াতাড়ির কাজ শেষ করার সুবিধা কিংবা সবাই মিলে ইফতারের সুযোগ। কোরিয়া প্রবাসীদের রমজান কিভাবে কাটছে? জেনে নিন কয়েকজন কোরিয়া প্রবাসীর অনুভূতি।
শফিকুল ইসলাম(ইনছন)
কোরিয়া মুসলিম রাষ্ট্র না হওয়ায় এখানে রোজা পালন করাটা অনেক কষ্টকর। তারপরও রোজা রাখতে পারছি বলে অনেক ভাল লাগে। শত ব্যস্ততা আর কঠোর পরিশ্রম করেও রোজা পালন করতে পারতেছি এজন্য মহান আল্লাহর কাছে লক্ষ কোটি শুকরিয়া জানাই। রোজা রাখার কারণে কোরিয়ান অনেক সহকর্মীরা সম্মানও করেন আবার অনেকে ঠাট্টাও করেন। ইফতারের সময় দেশে অনেক আইটেম থাকলেও এখানে কাজের মধ্যেই পানি পান করেই ইফতার করতে হয়।
আল মোমিন রনি (ছোংজু)
কাজের চাপ বেশি থাকাতেও স্বাচ্ছন্দ্যের সহিত রোজা পালন করছি বলে খুবই ভাল লাগে । কোম্পানীর সবাই একসাথে দেশে পরিবারের মত করে নামাজ, সেহরী ও ইফতার করি। এখানে তারাবীহ্র নামাজ পড়লেও দেশের মত খতম তারাবীহ্ না পাওয়ার কারণে আফসোস লাগে।
মেহেরুজ্জামান (হোয়াসং)
কোরিয়ার মত অমুসলিম দেশেও আল্লাহর রহমতে সবগুলো রোজা রাখতে পারতেছি বলে অনেক ভাল লাগছে। সহকর্মীরা অবাক হয়ে যায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত না খেয়ে কিভাবে কাজ করি এটা দেখে। এখানে মাঝে মাঝে ইফতারের সময় কোম্পনীর কোরিয়ান ও চাইনীজদেরকেও দাওয়াত করি। পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সাথে করা দেশের ইফতারকে খুব মিস করি।
হাসান (ফিয়ন্টেক)
এক কথায়, অনেেক অনোক ভালো লাগছে৷ তেমন কষ্ট মনে হচ্ছে না, যতটা কষ্ট হবে বলে ভেবেছিলাম।
আফসার উদ্দিন (শিওয়া)
কোরিয়াতেও এসেও রোজা রাখতে পারতেছি সে জন্য মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই। আমাদের কোম্পানীর সব বাংলাদেশীই রোজা পালন করতেছে জেনে মালিক নামাজ ও ইফতারের বিরতি ঘোষণা করে দিয়েছেন। রোজা রাখার কারণে কোরিয়ান সহকর্মীরা অনেক সম্মান করেন। নিজেরা সব ইফতার আইটেম তৈরি করে ইফতার করলেও দেশের ইফতারের ঘ্রাণ খুব মিস করি।