অনলাইন প্রতিবেদক, ১৩ এপ্রিল, ২০১৩:

উত্তর কোরিয়াকে আলোচনায় বসার আহবান জানালেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক গুন হে। ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল এন্ডার্স ফগ রাসমোসেনের সাথে বৈঠকের পর তিনি এই আহবান জানান। তিনি বলেন অস্থিরতা নিরসনে দুই কোরিয়ার আলোচনায় বসা উচিত। উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে এক হয়ে কাজ করার জন্যও আহবান জানান তিনি। প্রেসিডেন্ট পার্ক জানান, দক্ষিণ কোরিয়া ন্যাটোর সাথে ঘনিষ্টভাবে কাজ করতে চায়। রাসমোসেনই প্রথম ন্যাটো প্রধান যিনি দক্ষিণ কোরিয়া সফর করলেন।

chardike-ad

দুই কোরিয়ার মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এখন। উত্তর কোরিয়ার অব্যাহত হুমকির মুখে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এমন সময়ে দক্ষিণ কোরিয়া সফরে আসল ন্যাটোর সেক্রেটারী জেনারেল এন্ডার্স ফগ রাসমোসেনের। ন্যাটো প্রধান আজ শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তএলাকা পানমুনজম পরিদর্শন করেন।

ন্যাটো প্রধান আজ এন্ডার্স ফগ রাসমোসেন পানমুনজম সফর করেন

কেসং নিয়ে আলোচনার আহবান

এদিকে যৌথ শিল্প এলাকা কেসংকে শীঘ্রই সচল করার ব্যাপারে আলোচনায় বসতেও উত্তর কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির ইউনিফিকেশন মন্ত্রী রিও কিল-জে বৃহস্পতিবার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে গণমাধ্যমকে বলেন, কেসংয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করতে এখনই সংলাপে বসাটা জরুরী। মন্ত্রী বলেন উত্তর কোরিয়ার যে কোন দাবীর ব্যাপারে কথা বলতে তাঁর সরকার প্রস্তুত আছে। পিয়ংইয়ংয়ের কেসং অচল করে রাখার সিদ্ধান্তটি কোন পক্ষের জন্যেই সুফল বয়ে আনবে না মন্তব্য করে এ ব্যাপারে উত্তর কোরিয়াকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনেরও আহ্বান জানান তিনি।

দক্ষিণ কোরিয়ার পুঁজি ও প্রযুক্তি এবং উত্তর কোরিয়ার জনশক্তি নিয়ে ২০০৪ সালে নির্মিত কেসং শিল্প এলাকাটি বর্তমানে উভয় কোরিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার একমাত্র সেতুবন্ধন হয়ে আছে। ১২৩টি দক্ষিণ কোরীয় প্রতিষ্ঠানের অধীনে প্রায় ৫৩,০০০ উত্তর কোরীয় শ্রমিক এখানে কাজ করছেন।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়া তার শ্রমিকদের কাজে যোগদানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে কেসং কার্যত অচল হয়ে পড়ে। এখনও সেখানে তিনশোর মতো দক্ষিণ কোরীয় নাগরিক অবস্থান করছেন। আটকে পড়াদের বের হতে দেয়া হলেও নতুন করে কাউকে সেখানে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।