গরুর মাংস খাওয়া নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই হামলা, হত্যা আর হুমকির মতো ঘটনা ঘটছে ভারতে। আর এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনাও কম হচ্ছেনা দেশে বিদেশে। লেখক-চলচ্চিত্র পরিচালকদের জাতীয় পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে সম্প্রতি। তার পরেও গরুর মাংস ইস্যুতে ভারতে নিত্যই লেগে আছে উত্তেজনা।
মঙ্গলবার নতুন করে আবার উত্তেজনা ছড়ালেন ক্ষমতাসীন বিজেপির এক নেতা। কর্ণাটকে এক জনসভায় রাজ্য বিজেপি নেতা এস এন চান্নাবাসাপ্পা ঘোষনা দিয়েছেন, ‘গরুর মাংস খেলে গলা কেটে নেওয়া হবে।‘ তিনি এই হুমকি দিয়েছেন যাকে-তাকে নয়, একেবারে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এস সিদ্ধারামাইয়াকে।
কর্ণাটকের ওই বিজেপি নেতা জনসভায় গরুর মাংস খাওয়া প্রসঙ্গে সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এস সিদ্ধারামাইয়াকে আক্রমণ করেন।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর বরাবরই মুসলমানদের গরুর মাংস খাওয়া সমর্থন দিয়ে আসছেন। আর এতেই চটেছেন এন চান্নাবাসাপ্পা ।
জনসভায় দেওয়া বক্তৃতায় চান্নাবাসাপ্পার বলেন, মু্খ্যমন্ত্রী কি গো-হত্যাকারী? তিনি যদি গরু খান, তাহলে তার গলা লাইনের উপর থাকবে।
এদিকে বিজেপির ওই নেতার এমন বক্তব্যের পর বিতর্কের ঝড় ওঠেছে সারা ভারতে।
তবে চান্নাবাসাপ্পার এই হুমকিতে ভয় পাননি বলে জানান সিদ্ধারামাইয়া। তিনি বলেন, আমি কোনও হুমকিতে ভয় পাই না। এখনও পর্যন্ত আমি গরুর মাংস খাইনি। তবে এবার অবশ্যই খাব। কেউ আমাকে আটকাতে পারবে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যারা গরুর মাংস খাওয়ার বিরোধিতা করছে তারা নিজেরাই গরুর মাংস খায়। তবে তার বিরুদ্ধে দেওয়া হুমকি যদি সত্যি হয়, তাহলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
প্রসঙ্গত, গত রবিবারই গরুর মাংস খাওয়া বন্ধের বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী। তাকে কেউ গরুর মাংস খাওয়া থেকে বিরত করতে পারবে না এবং তার যা ইচ্ছে হবে, সেই মাংসই তিনি খাবেন বলে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছিলেন এস সিদ্ধারামাইয়া।