Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সিউলে শেষ হলো বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের মিলনমেলা

BSAK Get together

নবীণ বরণ, পিএইচডি প্রাপ্তদের সংবর্ধনা, ফ্যাকাল্টি সংবর্ধনা, নাচ, গান, গেমস, ইবুক উন্মোচন, সিউল সিটি ট্যুর, দূতাবাসের সাথে মতবিনিময়, আড্ডা, বাংলাদেশী খাবারের ভোজনবিলাস ইত্যাদি দিয়ে সাজানো শীতকালীন মিলনমেলা শেষ হলো গত সোমবার। বাংলাদেশী স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন ইন কোরিয়া (বিএসএকে) আয়োজিত মিলনমেলায় যোগ দিয়েছিলেন কোরিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রী, গবেষক এবং শিক্ষকবৃন্দ। বিএসএকে দশমবারের মত সিউল ইয়ুথ হোস্টেলে এই আয়োজন করে।

chardike-ad

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস, গবেষণার ব্যস্ততার মাঝে প্রতি সেমিস্টারে একবার দুই দিনের জন্য বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দেয় করে বাংলাদেশি স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন ইন কোরিয়া (বিএসএকে)। নানা আয়োজনের পাশাপাশি কোরিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ছাত্রছাত্রীদের পরিচয় হওয়ার অসাধারণ একটা সুযোগ এই মিলনমেলা।

প্রথমদিনে আশরাফ বিশ্বাসের উপস্থাপনায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় মিলনমেলা।  স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র আশিকুর রহমান রুশো। বিএসএকের কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন মোহাম্মদ গোলাম হাফিজ।  প্রতিবারের মত এবারো ইবুক প্রকাশ করা হয়। কোরিয়া প্রবাসী ছাত্রছাত্রীদের গল্প, অভিজ্ঞতা, কবিতা এবং স্মৃতিচারণ নিয়ে প্রকাশিত ইবুকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রদূত জুলফিকার রহমান।

এরপরই নবীণ, ডিগ্রীপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রী এবং কোরিয়ায় অধ্যপনারত শিক্ষকদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন মিলনমেলার প্রধান অতিথি দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জুলফিকার রহমান এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। নবীনদের পক্ষে কুকমিন ইউনিভার্সিটির আমিরুল ইসলাম,  পিএইচডি ডিগ্রীপ্রাপ্তদের মধ্যে পক্ষে ড: গোপাল সাহা এবং অধ্যাপকদের পক্ষে ড: হাসি রানি বড়াই বক্তব্য রাখেন।

BSAK 3
নবীণ শিক্ষার্থীকে বরণ করে নিচ্ছেন রাষ্ট্রদূত জুলফিকার হাসান

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং কোরিয়ায় বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রী বৃদ্ধি করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।  অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলেদেশ দূতাবাসের কনসুলার খন্দকার মাসুদুল আলম, ফার্স্ট সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া, বিসিকে সভাপতি হাবিল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার কামাল।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিসিকে নির্বাহী সদস্য এবং সাবেক সভাপতি আবুবকর সিদ্দিক রানা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এন ইসলাম, নির্বাহী সদস্য এম জামান সজল, মিজানুর রহমান মিজান, ফাইয়াজ আহমেদ মুসলিম, ডঃ জামাল উদ্দিন হাসান, ডঃ সুমিত্র কুমার কুন্ডু,গোলাম হাফিজ এবং ডঃ আব্দুর রহিম।

দ্বিতীয় পর্বে ইমরোজ বিন মুহিত এবং তাবসসুম নাসরিন হকের উপস্থাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন ইসসাম, ইশা, ইফরিত, মারুফ, তামিম, রুশো-কথা, ইমরোজ-শামা এবং মারুফ আহমেদ ইফতি।

মিলনমেলার দ্বিতীয় দিনে কোরিয়া একচেঞ্জ ব্যাংকের সৌজন্যে সিউল ট্যুরে খিয়ংবুক প্যালেস, সেজং ইয়াগি, কোরিয়া কেন্দ্রীয় মসজিদ, কোরিয়ার জাতীয় জাদুঘর এবং হান নদী পরিদর্শন করেন ছাত্রছাত্রীরা। এছাড়া  বাংলাদেশ দূতাবাসে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রদূত মহোদয় ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা, পরামর্শগুলো মনোযোগ সহকারে শুনেন এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন। মিলনমেলায় বাংলাদেশ দূতাবাসের অনারারি কনসুলার ডেভিড কিম এবং বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন কোরিয়ার সৌজন্যে সকল ছাত্রছাত্রীদের জন্য উপহারের ব্যবস্থা করা হয়।

BSAK 2

উল্লেখ্য, দঃ কোরিয়ায় বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের একটি একক প্লাটফর্মের অভাব পূরণ করেছে বিএসএকে। প্রতি সেমিস্টারে একবার গেট টুগেদার ছাড়াও ওয়েবসাইট ও ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহায়তা করে সংগঠনটি।