উল্লেখ্য, কলেরা একটি সংক্রামক এবং মারাত্মক ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। মূলত দূষিত পানি পান করার মাধ্যমেই এ রোগের বিস্তার ঘটে থাকে।
উত্তর কোরিয়ার ইয়াংগ্যাং প্রদেশের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রচুর পরিমাণে দূষিত পানি ব্যবহারের ফলে কলেরার পাশাপাশি ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাও প্রতিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। হায়ং এবং মুসানসহ বিদ্ধস্ত অঞ্চলগুলোতে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীরাও আক্রান্ত হচ্ছে। এটি মূলত নিম্নমানের স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং দূষিত পানি ব্যবহার করার কারনেই বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয় বাসিন্দারা দূষিত এবং বিশুদ্ধ পানি আলাদা করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী বয়স্ক এবং শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটাই উত্তর কোরিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। এর ফলে হাজার হাজার মানুষ গৃহহারা হয়েছে।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, এতো কিছুর পরেও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এখনো বিদ্ধস্ত অঞ্চল পরিদর্শনে যাননি।
গত ২৯ শে আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার ইতিহাসে এই ভয়াবহ বন্যা সংগঠিত হয়। কিন্তু এরপরও উত্তর কোরিয়া গত ৯ সেপ্টেম্বর পঞ্চম পারমানবিক পরীক্ষা চালিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বিজ্ঞানী, সামরিক ইউনিট এবং পিয়ংইয়ং এর অস্ত্র প্রোগ্রাম ইউনিটকে সাথে নিয়ে এ পরীক্ষা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা।
এদিকে দক্ষিণে অবস্থিত বিশ্ব উত্তর কোরিয়া রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক আন চ্যান-ইল জানিয়েছেন, কিম জং উন বিদ্ধস্ত অঞ্চল পরিদর্শনে যাননি। কারন, স্থানীয়রা ইতোমধ্যে তার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারনা পোষণ করতে শুরু করেছে। ফলে কিম জং উনের বিদ্ধস্ত অঞ্চল পরিদর্শন স্বভাবতই ঝুকিপূর্ণ।
সূত্রঃ ইউপিআই