আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে গত কয়েক বছর ধরে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের খবর প্রকাশ করার সুযোগ দেয়নি মিয়ানমার সরকার। কদিন আগে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি গ্রামে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীদের প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। আর তাতেই রোহিঙ্গাদের উপর কতটা বর্বরতা চালিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী, সে খবর বেরিয়ে এলো।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর কাছে কয়েক মাস আগের সেই বর্বরতা তুলে ধরেছেন রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গা নারীরা সংবাদ মাধ্যমগুলোকে জানিয়েছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের গ্রামে হানা দিয়ে সব পুরুষকে ধরে নিয়ে যায় আর নারীদের উপর চালায় গণধর্ষণ।
এখানেই থেমে থাকেনি নির্যাতনের ভয়াবহতা। মিয়ানমার সেনারা রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি জালিয়ে দিয়েছে। চালিয়েছে অবিশ্বাস্য গণহত্যা। যাদেরকে ধরে নেয়া হয়েছে, তাদের ভাগ্যে ঠিক কী ঘটেছে, তার কোনো খবর পায়নি বেঁচে থাকা রোহিঙ্গা স্বজনরা।
গত কয়েক দশক ধরে মিয়ানমার সরকারের হাতে অত্যাচারিত হয়ে আসছেন দেশটির রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গা মুসলমানরা। তাদের নাগরিক হিসেবে মেনে নেয়নি মিয়ানমার। যদিও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তারা বলে এসেছে যে, মুসলমানদের উপর নয়, মিয়ানমার সেনাবাহিনী কেবল দেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত দুর্বৃত্তদের নিয়ন্ত্রণ করেছে।
মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হলেও, জাতিসংঘ থেকে বারবার বলা হয়েছে যে, মিয়ানমারে গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে। তারপরও মিয়ানমার তাদের অপতৎপরতা কখনোই বন্ধ করেনি। কিন্তু ধীরে হলেও রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বরতার চিত্র সামনে আসতে শুরু করেছে।