Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সালমান শাহ হত্যার বিচার না হলে আত্মহত্যার হুমকি

salman-shahঅমর নায়ক সালমান শাহের মৃত্যুজট নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে আমেরিকা প্রবাসী রুবির ভিডিও বার্তায়। তিনি বলেন, সালমান আত্মহত্যা করেননি, তাকে হত্যা করা হয়েছিল। এই রুবি সালমান খুনের মামলায় ৭ নম্বর আসামি।

রুবির ভিডিও বার্তার সূত্রে খুনিদের বিচারের দাবিতে ফুলে ফেঁপে উঠেছে সারাদেশের সালমান শাহের ভক্তরা। বিচারের দাবিতে যোগ হয়েছে একটি নারীর ভিডিও বার্তা। যদিও তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। চার মিনিটের ভিডিওটি শনিবার সকাল থেকেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

chardike-ad

ওই নারী সালমান শাহের খুনিদের বিচারের দাবি তুলে বলেন, ‘সালমান শাহ মারা যাওয়ার পর (১৯৯৬) সারাদেশে ৪০ জনের বেশি ছেলেমেয়ে আত্মহত্যা করেছিল। এখন নতুন করে সালমান শাহের মৃত্যুর বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। রুবি নামের মহিলা সব জানে কে বা কারা সালমান শাহকে খুন করেছে। সালমান শাহ হত্যার বিচার না হলে আমি আত্মহত্যা করব, এর দায় নেবে প্রধানমন্ত্রী। রুবির ভিডিওতে প্রমাণ হয় সালমান শাহকে খুন করা হয়েছে। বিচার না হলে আমি আত্মহত্যা করে প্রমাণ করব যে, সালমানের ভক্তরা এখনও পৃথিবীতে আছে।’

তিনি বলেন, ‘শুধু আমি না, পুরো পৃথিবীর মানুষ সালমান শাহ হত্যার বিচার চায়। বেশি কিছু বলতে পারছি না। আমি খুব নার্ভাস ফিল করছি। মাননীন প্রধানমন্ত্রী আপনি এর বিচার করুন। আপনিও তো ভাই হারা, বাবা হারা। আপনি এই কষ্টটা করেন। সালমান শাহের শ্বশুর কীভাবে সালমানকে নিয়ে খারাপ কথা বলে? প্লিজ এর বিচার করুন।’

‘কেন সালমানের খুনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে? কী অপরাধ ছিল আমাদের সালমানের? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি বিচার করুন নইলে আমি যে কোনো মুহূর্তে আত্মহত্যা করব’- এই কথাও বলেন এই নারী।

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান সালমান শাহ। তখন এটিকে আত্মহত্যা বলা হলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন আলামতে বোঝা যায়, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেনি, তাকে খুন করা হয়েছিল। গেল সোমবার রুবি নামের এক আমেরিকা প্রবাসী নারী ফেসবুক লাইভে এসে জানান, সালমান শাহকে খুন করা হয়েছিল। তিনি সব জানেন। যদিও দুদিন পর রুবি সব অস্বীকার করেন।

গত দুই দশকেও এই মামলার রহস্য উদঘাটন হয়নি। পুলিশ দুই দফা ময়নাতদন্ত করে একে আত্মহত্যাই বলেছিল। কিন্তু নারাজি আবেদন করেছে সালমান শাহের পরিবার। মামলাটির বিচার বিভাগীয় তদন্তও হয়েছিল। এখন মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইয়ে রয়েছে।