থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার তার বিরুদ্ধে করা একটি মামলার রায় দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইংলাক আদালতে উপস্থিত হননি। আর এ কারণে তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
খবরে বলা হয়েছে, ইংলাক দেশ ছাড়তে পরেন এই আশঙ্কায়ও তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিতে ভুমিকা রেখেছে।
ওই আদালতের এক বিচারকের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমাদের মনে হয় না অভিযুক্ত ব্যক্তি অসুস্থ। খুব সম্ভবত অভিযুক্ত ব্যক্তি আত্মগোপন করেছেন অথবা পালিয়ে গেছেন। আমরা ২৭ সেপ্টেম্বর রায়ের তারিখ নির্ধারণ করছি।
উল্লেখ, চাল ক্রয় প্রকল্পে কয়েক বিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দিয়ে সরকারি অর্থ অপচয় করার অভিযোগে ২০১৫ সালের মার্চে ইংলাকের বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করা হয়। এ মামলায় দোষীসাব্যস্ত হলে কারাদণ্ডের পাশপাশি রাজনীতিতে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন ইংলাক।
তবে ইংলাকের আইনজীবীরা বলেছেন, কানে সমস্যার কারণে তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। তবে আইনজীবীরা আদালতে তার কানের চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাই আদলত ইংলাকের অসুস্থতার বিষয়টি আমলে না নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
মামলার বিরবনী অনুসারে, নিজের সমর্থক কৃষকদের খুশি করতে সরকারে চাল ক্রয় প্রকল্পে বেশি মূল্যে চাল কিনেছিল ইংলাক সরকার। কিন্তু বেশি দামে কেনায় আন্তর্জাতিক বাজারে সেই চাল রপ্তানি করা যায়নি।
তবে ইংলাক বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তিনি উল্টো অভিযোগ করে আসছেন যে, তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।
উল্লেখ, ২০১১ সালে থাইল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন ইংলাক।তবে চালে ভর্তুকি প্রকল্পে লাখ লাখ ডলার অনিয়মের অভিযোগ উঠার পর ২০১৫ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। তবে দেশটিতে এখনও দারুণ জনপ্রিয় ইংলাক।


































