অনলাইন প্রতিবেদক, সিউল, ৩ ডিসেম্বর ২০১৩:
ভালো কিংবা খারাপ অনেক ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক বিশ্বের শীর্ষ স্থানগুলো দখল করে নিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। কোরিয়ান আধিপত্যের এমনই দশটি খাত নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম সিএনএন।
তালিকায় প্রথমেই রাখা হয়েছে কোরিয়ার অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে। ‘ভবিষ্যৎ কিরূপ হবে দেখতে চান?’
এমন প্রশ্ন রেখে প্রতিবেদনে জবাব দেয়া হয়েছে, “কোরিয়ার বিমানে চেপে বসুন। এ দেশের ৮২.৭ শতাংশ মানুষের ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে, ৭৮.৫ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করে।”
কোরিয়ানদের প্রযুক্তি নির্ভরতার উদাহরণ দিতে গিয়ে আরও বলা হয়েছে, “তারা নাভার লাইন কিংবা কাকাও টকে সারাদিনই চ্যাট করছে। স্মার্টফোনটি ব্যবহৃত হচ্ছে দোকানে মূল্য পরিশোধের কাজেও। সাবওয়েতে টিভি দেখছে, বিশ্বের প্রথম ভার্চুয়াল বাজারে কেনাকাটার কাজটিও সেরে নিচ্ছে ঘরে বসেই।”
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারেও কোরিয়ানরা বিশ্বে সবচেয়ে এগিয়ে। ব্যাংক অব কোরিয়ার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালে সারা বিশ্বে ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশী লেনদেন করেছেন কোরিয়ানরা। ওই বছর একজন মার্কিনী ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেছেন গড়ে ৭৭.৯ বার, একজন কানাডিয়ান ৮৯.৬ বার। আর একজন কোরিয়ানের ক্ষেত্রে এ গড় ছিল ১২৯.৭ বার। কোরিয়ায় ট্যাক্সি ক্যাবেও ক্রেডিট কার্ড মেশিন রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদক বলেন, “যত কম মূল্যের লেনদেনই হোক তা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে করতে অপারগতা জানানো এখানে আইনত দণ্ডনীয়।”
কোরিয়ানদের দীর্ঘ সময় কাজ করার বিষয়টিও গোটা বিশ্বে বিরল। কোরিয়া সরকারের দেয়া তথ্য অনুসারে একজন কোরিয়ান সপ্তাহে গড়ে ৪৪.৬ ঘণ্টা কাজ করেন যা আন্তর্জাতিক কর্মঘণ্টার গড়ের তুলনায় অনেক বেশী।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য দিকগুলো হচ্ছে কোরিয়ান কর্মজীবীদের অতিরিক্ত মদ্যপানের অভ্যাস, প্রসাধনী প্রস্তুতিতে ব্যাতিক্রমী উপাদান ব্যবহার, অস্বাভাবিক হারে মহিলা গলফারের সংখ্যা বৃদ্ধি ইত্যাদি।