Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কোরিয়ায় অনুমোদন মিলছে না গুগল ম্যাপের

১৮ ডিসেম্বর ২০১৩, সিউল:

নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে গুগল ম্যাপে দক্ষিণ কোরিয়াকে যুক্ত করতে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ সার্চ ইঞ্জিনটির লাইসেন্স আবেদন অনুমোদন করছে না কোরিয়া সরকার। সোমবার একটি বিশেষ সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। কোরিয়ার প্রথম সারির আইনি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান কিম এন্ড চ্যাং গুগলের হয়ে লাইসেন্স প্রাপ্তির চেষ্টা চালিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত সরকারের সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকদের মন গলাতে পারেনি।

chardike-ad

imagesগুগল অ্যান্ড্রয়েড, গুগল গ্লাস কিংবা সেলফ-ড্রাইভিং কারের মতো অতোটা জনপ্রিয়তা না পেলেও গুগল ম্যাপ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সার্চ জায়ান্ট কোম্পানিটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প। ওয়েবে এটাই প্রথম ম্যাপ না হলেও এর সহজ আর বহুমাত্রিক ব্যবহার অন্য সবগুলোকে অনায়াসেই ছাড়িয়ে যেতে সাহায্য করেছে। সেবাটির উৎকর্ষ সাধনে গুগলের নিত্যনতুন প্রচেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে।

গুগল কর্তৃপক্ষ বরাবরের মতো ম্যাপিং কার্যক্রমটিকে স্রেফ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে একটু ভিন্ন মাত্রা যোগ করবার প্রয়াস হিসেবে অভিহিত করে আসলেও কোরিয়া সরকার বলছে এখানে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো গুগলের পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। কোরিয়া সরকারের ভূমি, অবকাঠামো ও পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা যেমন বলছিলেন, “যথাযথ নিরাপত্তা ছাড়াই গুগলের সংবেদনশীল উপাদান ইন্টারনেটে আপলোডের বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন, এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।”

সম্প্রতি নিরাপত্তা ত্রুটিজনিত কারণে নেভার ও দাউম নামের দুটি জনপ্রিয় কোরিয়ান সার্চ ইঞ্জিনের ব্যবহার সীমিত করে দেয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় গুগলকে ম্যাপিং কার্যক্রমের জন্য অনুমতি দেয়া হলে তা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে বলে আশংকা সংশ্লিষ্টদের। তবে নিরাপত্তার অজুহাতে গুগলের স্ট্রিট ভিউ সেবা পুরোপুরি বাতিল করে দেয়ার কোন অভিপ্রায় সরকারের নেই বলেও জানান মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, গুগল ম্যাপে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ২০১০ সালে পুরো সিউলের স্কাইভিউ ছবি তোলার অনুমতি চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হয় গুগল। এরপরই কিম এন্ড চ্যাংয়ের দ্বারস্থ হয় তারা। চলতি বছরের শেষভাগে প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে গুগলের হয়ে তদবির শুরু করে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানা যায় নি, যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারাও মুখ খুলতে রাজী হন নি।