Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কোরিয়ায় রেল ধর্মঘটঃ পুলিশি অভিযানে গ্রেপ্তার শতাধিক

অনলাইন প্রতিবেদক, সিউল, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৩:

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে চলমান রেল শ্রমিক ধর্মঘটের জের ধরে শতাধিক শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে দেশটির পুলিশ। রবিবার একটি শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। খবরে প্রকাশ রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ প্রায় ছয়শ পুলিশ সদস্য রাষ্ট্রয়ত্ত কোরিয়া রেল কর্পোরেশনের (কোরেল) ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সিউলে আন্দোলনরত শ্রমিক জোট কোরিয়ান কনফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নস (কেসিটিইউ)-এর সদর দপ্তর ঘিরে অবস্থান নেয়। এর আগে গত সপ্তাহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের সমন উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ইউনিয়ন সভাপতি কিম মুং হনসহ ২৫ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

chardike-ad

131222_p01_policeগ্রেপ্তার অভিযান চলাকালে শ্রমিকদের সাথে সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে আরম্ভ করে। এ সময় আন্দোলনকারীরা জল কামান নিক্ষেপ করে পাল্টা জবাব দেয়। দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে ১১৯ জন কেসিটিইউ কর্মীকে আটক করা হয়। পুলিশি অভিযানের অল্প কিছুক্ষণ বাদেই পরিবহণ মন্ত্রী সু সিওং হন সরকারের তরফে ইউনিয়নের প্রতি দেয়া আল্টিমেটামের সময়সীমা বাড়িয়ে ধর্মঘটী শ্রমিকদের কাজে যোগদানের আহ্বান জানান। মন্ত্রী বলেন, “অবৈধ ধর্মঘটে জনসাধারণের দুর্ভোগ ও জাতীয় অর্থনীতির ক্ষয়ক্ষতি এমন এক পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যে তা সহ্য করা সরকারের পক্ষে আর সম্ভব নয়।” মন্ত্রী ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দকে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মেনে আত্মসমর্পণেরও আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, দ্রুত গতির রেল সেবা পরিচালনার জন্য কোরেলের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান গঠনের সরকারী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবীতে ছয় সহস্রাধিক রেল শ্রমিক দুই সপ্তাহ আগে কর্মবিরতি শুরু করেন। শ্রমিক নেতারা বলছেন এটি রাষ্ট্রয়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির বেসরকারিকরণের পথে একটি পদক্ষেপ এবং তাদের আশংকা এর ফলে ভবিষ্যতে গণহারে কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

অন্যদিকে কোরিয়া সরকার বলছে সহযোগী প্রতিষ্ঠান গঠনের সাথে বেসরকারিকরণের কোন সম্পর্ক নেই। এটি সম্পূর্ণভাবে কোরেল তথা রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের অধীনে থাকবে। শ্রমিকদের আশ্বস্ত করতে সরকার এমন ঘোষণাও দিয়েছে যে সহযোগী প্রতিষ্ঠানটি যেন ভবিষ্যতে কোনভাবে কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে মালিকানার অংশ বিক্রি করতে না পারে সে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।

সহযোগী প্রতিষ্ঠানের অধীনে নতুন ট্রেন সার্ভিসটি দক্ষিণ সিউলের সুসো-দোং থেকে দক্ষিণপূর্ব বন্দর নগরী বুসানে যাতায়াত করবে। ২০১৬ সালে এটি চালু করার কথা রয়েছে।