চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের বিরুদ্ধে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের এক সহকারী প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চসিক কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
পোর্ট কানেকটিং রোডের সম্প্রসারণ নিয়ে মেয়র নাছির উদ্দীনের সঙ্গে কথা বলতে চসিক কার্যালয়ে গিয়েছিল গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের একটি প্রতিনিধি দল। অভিযোগ উঠেছে, তখন কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান পলাশকে থাপ্পড় মারেন মেয়র। তাকে ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে বের করে দেন। এ সময় মেয়রের সঙ্গে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ জুবায়েরও তাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন এবং গালাগাল করেন। এ ঘটনায় উপস্থিত সবাই হতভম্ব হয়ে যান। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেয়র ও কাউন্সিলর দু’জনই।
মেয়র নাছির উদ্দীন বলেন, অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় সহকারী প্রকৌশলীর ওপর উত্তেজিত হয়েছিলাম। তবে তার গায়ে হাত তোলা হয়নি। কাউকে গালাগালও করা হয়নি।
কাউন্সিলর জুবায়েরও প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, মেয়রের সঙ্গে অভদ্র আচরণ করলে আমি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামানকে কনফারেন্স রুম থেকে জড়িয়ে ধরে করিডোরে নিয়ে যাই। এর বেশি কোনো ঘটনা ঘটেনি। মেয়র ও আমার সম্মানহানি করতে একটি পক্ষ অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তবে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘বড়পোল মোড়ে পোর্ট কানেকটিং রোডের পশ্চিম পাশে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের জায়গা। তবে অনুমতি না নিয়েই সেখানে সড়ক সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নেয় চসিক। ১২০ ফুট প্রস্থের এ সড়ক বড়পোল পয়েন্টে এসে ১৭০ ফুট করতে চান তারা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তাদের এ কাজ করার কথা বলতে আমরা ছয়জনের একটি প্রতিনিধি দল মেয়রের কাছে যাই। কথা বলার একপর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাকে থাপ্পড় মেরে কনফারেন্স রুম থেকে ধাক্কা দিয়ে করিডোরে নিয়ে আসেন। ঘটনাস্থলে থাকা কাউন্সিলর জোবায়েরও আমাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন। একপর্যায়ে আমাকে সবার সামনে বেঁধে রেখে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার হুমকিও দেন।
ঘটনাস্থলে থাকা জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শামসুল আলম বলেন, ‘মেয়র ও কাউন্সিলরের এমন আচরণে আমরা হতভম্ব হয়ে যাই।’ এ সময় ঘটনাস্থলে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অলিউল ইসলাম, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ ছোটন চৌধুরী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন, নকশাকারক অশোক কর্মকার।