Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি : নিহত ২৭ বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে

tunisia-boat-sankলিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে তিউনিসিয়ার উপকূলবর্তী ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে নিহত ২৭ বাংলাদেশির পরিচয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

নিহতরা হলেন, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার জয়াগ গ্রামের নাসির, ঢাকার টঙ্গীর কামরান, সিলেটের জিল্লুর রহমান, কিশোরগঞ্জ জেলার জালাল উদ্দিন, সুনামগঞ্জের মাহবুব, মাদারীপুর জেলার সজিব, সিলেট বিয়ানীবাজারের রফিক ও রিপন, শরীয়তপুরের পারভেজ, কামরুন আহমেদ মারুফ, মৌলভীবাজার কুলাউড়ার শামিম, কিশোরগঞ্জ জেলার আল-আমিন, ফেঞ্চুগঞ্জ সিলেটের লিমন আহমেদ, আব্দুল আজিজ ও আহমেদ, সিলেট দক্ষিণ সুরমার জিল্লুর, বাইল্যাহার মৌলভীবাজারের ফাহা, সিলেট ফেঞ্চুগঞ্জের আয়াত, হাউড়তোলা সিলেটের আমাজল, সিলেটের কাসিম আহমেদ, সিলেট বিশ্বনাথের খোকন, রুবেল, সিলেটের মনির, বিশ্বনাথ সিলেটের বেলাল, সুনামগঞ্জের মাহবুব, নাদিম, সিলেট গোলাপগঞ্জের মারুফ প্রমুখ।

chardike-ad

নৌকাডুবি থেকে বেঁচে যাওয়া শিশির বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে ফোনে জানান, বেঁচে যাওয়া ৬ জনের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার নরিয়া থানার চারুগা গ্রামে। তারা হলেন, রাজিব, উত্তম, পারভেজ, রনি, সুমন ও জুম্মান।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পারিবারিক যোগাযোগ পুনঃস্থাপন বিভাগের দায়িত্বরত পরিচালক ইমাম জাফর শিকার বলেন, তিউনিসিয়া রেড ক্রিসেন্টে প্রাদেশিক প্রধান ডা. মাঙ্গি সিলাম এর মাধ্যমে জীবিত ৪ বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গে ফোনালাপের মাধ্যমে পাওয়া তথ্য মতে ২৭ জন বাংলাদেশির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এছাড়াও ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত ৫ জনের মৃতদেহ সোমবার সকাল পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি নেভি ক্যাম্পে রয়েছে। তিনি বলেন, বেঁচে যাওয়া ১৬ জনের মধ্যে ১৪ জন বাংলাদেশি, একজন মিসরীয় ও একজন মরক্কোর নাগরিক রয়েছে।

এদিকে নৌকাডুবিতে নিহত ও জীবিত বাংলাদেশিদের তথ্য আদান প্রদানের জন্য চালু করা হয়েছে দু’টি হটলাইন নম্বর : ৮৮-০২-৪৯৩৫৪২৪৬ ও ০১৮১১৪৫৮৫২১। ৪৯৩৫৪২৪৬ এই নম্বরটি অফিস চলাকালীন প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এবং ০১৮১১৪৫৮৫২১ নম্বরটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ।

এছাড়াও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, জাতীয় সদর দফতর, ৬৮৪-৬৮৬, বড় মগবাজার অথবা ৬৪টি জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটে আহত ও নিহতের স্বজনরা সরাসরি যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহ ও রেড ক্রিসেন্টের সেবা নিতে পারবেন।