Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

লন্ডনেও অভিযুক্ত কর্নেল শহীদ

shahidবাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য প্রকাশ করেছে ইংল্যান্ডের জাতীয় দৈনিক দ্য সানডে টাইমস। রোববার (২৬ মে) পত্রিকাটিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ত্র ব্যবসা ও জঙ্গিবাদ সংক্রান্ত মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি শহীদ উদ্দিন বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ইংল্যান্ডের টোরি পার্টির ফান্ডে ২০ হাজার পাউন্ড অনুদান দিয়েছেন।

এতে আর বলা হয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে বরখাস্ত এ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জঙ্গিবাদে মদদ দেয়া, অস্ত্র ব্যবসা, প্রতারণা ও অর্থ পাচারের একাধিক মামলা রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তার ঢাকার বাসায় অভিযান চালিয়ে জিহাদি বই, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে বাংলাদেশের কাউন্টার টেরোরিজম পুলিশ।

chardike-ad

পলাতক শহীদ উদ্দিনের বিষয়ে বাংলাদেশের আদালতকে পুলিশ লিখিতভাবে জানিয়েছে, ২০১৮ সালে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে বিস্ফোরক, অস্ত্র, আল-কায়েদার সম্পৃক্ত জিহাদি বই এবং জাল মুদ্রা উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বাংলাদেশ পুলিশ বলছে, শহীদ উদ্দিনের বাসায় অভিযান চালিয়ে ৫০টি বিস্ফোরক দ্রব্য, ২টি বন্দুক, ২টি শটগান, ৭টি জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়। বাকি বইগুলো বাংলাদেশে তথাকথিত খলিফার সম্পর্কিত লেখা। তবে রাজনৈতিক অনুদানের বিষয়ে দ্যা সানডে টাইমস এর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শহীদ উদ্দিন খান।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাদরাসা ও ইসলামি শিক্ষার প্রসারের আড়ালে জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগে ৫৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছে।

তবে শহীদ উদ্দিনের দাবি, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। শহীদ উদ্দিন বাংলাদেশ সরকারকে স্বৈরচারী, অপহরণকারী এবং দুর্নীতিপরায়ণ বলেও বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করেছেন। সেই সঙ্গে জঙ্গি অর্থায়ন করার মতো অভিযোগও অস্বীকার করেছেন তিনি।

কয়েক মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করে ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের গোল্ডেন ভিসা সংগ্রহ করেন শহীদ উদ্দিন। এরপর দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের উইম্বলডনে পরিবারসহ বসবাস শুরু করেন।

জানা গেছে, সেনা কর্মকর্তা শহীদ উদ্দিনের শেহতাজ নামের একটি মেয়ে রয়েছে, যিনি ২০১৭ সালে ব্যারিস্টারি পাশ করেন। সম্প্রতি তার ফেসবুক পেজে শেহতাজ বাংলাদেশে কাতারভিত্তিক আল-জাজিরা চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়ার জন্য সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন।

বাংলাদেশের একটি সরকারি নথিতে দাবি করা হয়েছে, গত ১০ বছরে ভূমি জালিয়াতির মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা আয় করেছেন শহীদ। এ অভিযোগে একটি জালিয়াতি মামলায় তার অনুপস্থিতিতে ৫ বছরের সাজা ঘোষণা করেন আদালত।