শরীয়তপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের হাতিরকান্দি স্বর্ণঘোষ গ্রামের মজিদ সরদারের মেয়ে প্রবাসীর স্ত্রী পপি বেগমের অপকর্মে অপকর্মে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। গত ১০ জানুয়ারি জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেছেন একই এলাকার পপি বেগমের চাচি শাহিদা বেগম।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন অপকর্ম যেমন নেশা করা, বিভিন্ন পুরুষের সাথে রাত যাপন করা ইত্যাদি অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার কার্যকালাপ ও অপকর্মগুলো এখন এলাকায় অালোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি করেছে।
এ ব্যাপারে পপির পরিবারকে বিভিন্ন সময় জানালেও তারা এর কোন কর্ণপাত করেন না। এছাড়া পপিকে এলাকায় এই অপকর্ম থেকে বিরত থাকার জন্য একাধিকবার দরবার শালিসও হয়েছে। কিন্তু কারো কথা না শুনে পপি তার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমতাবস্থায় এলাকার অন্যান্য ছেলে-মেয়েদের নিয়ে দু:চিন্তায় রয়েছে অভিভাবকরা।
পুলিশ সুপারের বরাবর অভিযোগকারী শাহিদা বেগম জানান, পপি আমার বাসুরের মেয়ে। একই বাড়িতে আমাদের বসবাস। কিন্তু সে বিভিন্ন অনৈতিক সম্পর্কের সাথে জড়িত থাকার কারণে আমাদের সন্তানরা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গত মঙ্গলবার রাতে পপিকে দুইজন পুরুষের সাথে এলাকার লোকজন ধরে ফেলে। তাই এলাকার স্বার্থে পপির বিচার চেয়ে আমি জেলা পুলিশ সুপারের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
প্রতিবেশি আবুল হোসেন সরদারের ছেলে ফরহাদ সরদার জানান, দীর্ঘদিন যাবত অনৈতিক কাজের জন্য রাসেল নামে একটি ছেলে পপিকে রাতে মটর সাইকেল করে নিয়ে যায় এবং তিন-চার ঘন্টা পর দিয়ে যায়। মাঝে মাঝে দুইদিন তিনদিনও বাহিরে থাকে। এতে অামারা অাতঙ্কে অাছি।
স্বর্ণঘোষ গ্রামের অবসর প্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আক্তার ঢালী বলেন, প্রতিনিয়ত পপির ঘরে যুবক ছেলেরা থাকে। মাঝে মাঝে পপিকে নিয়ে যায়। গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পপিদের ঘর থেকে এলাকার লোকজন পুলিশের সোর্স রাসেলসহ কয়েকজন যুবককে ধরে ফেলে।
এদিকে, অভিযুক্ত প্রবাসীর স্ত্রী পপি বেগম বলেন, রাসেল আমার সম্পর্কে খালাতো ভাই। তাই আমাদের বাড়িতে আসে। গত মঙ্গলবার রাতে রাসেল ভাই তার অারেক পুলিশ বন্ধুকে নিয়ে আসে আমাদের বাড়িতে। এলাকার কিছু লোক আমাদের ঘরে ঢুকে মেহমানসহ আমাদের মারধর করেছে।
অভিযুক্ত রাসেলের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল নাম্বারও বন্ধ পাওয়া যায়।
শরীয়তপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রশিদ সরদার বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে আমার কাছে হাতিরকান্দি এলাকা থেকে ফোন আসে। ফোনে জানতে পারি পপি দুইজন যুবকসহ ধরা পরেছে। যারাই এ অপকর্মের সাথে জড়িত তাদের বিচার হওয়া উচিত।
শরীয়তপুর পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) এহসান শাহ্ বলেন, আমাদের কাছে এক নারী একটা অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। সময়ের কণ্ঠস্বর