
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) নাম পরিবর্তন করে নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘জাতীয় ছাত্রশক্তি’ নামে। পূর্বের মতো স্বতন্ত্র সংগঠন না রেখে এবার এটি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সহযোগী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ের আবু সাঈদ কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ পুনর্গঠন ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণের লক্ষ্যে জাতীয় সমন্বয় সভা’য় সংগঠনটির নতুন নাম ও কাঠামো ঘোষণা করা হয়। তবে আলোচ্যসূচিতে কমিটি ঘোষণার কথা থাকলেও তা প্রকাশ করা হয়নি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার ও সদস্যসচিব জাহিদ আহসান প্রমুখ।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন সভায় বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। যেকোনো মূল্যে সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে। পূর্ণ নিশ্চয়তা পেলেই এনসিপি স্বাক্ষর করবে।”
তিনি আরও বলেন, “স্বাক্ষরের পর দুই পক্ষ তৈরি হয়েছে- এক পক্ষ চায় স্বাক্ষর প্রত্যাহার করতে, আরেক পক্ষ চায় কালি দিয়ে গেঁথে দিতে। তবে এনসিপি কোনো দোদুল্যমান অবস্থানে নেই।”
ছাত্ররাজনীতি প্রসঙ্গে আখতার হোসেন বলেন, “আওয়ামী লীগ আমলে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে ভয় ও দমননীতির সংস্কৃতি তৈরি করেছিল। এখন আর যেন কেউ গণরুম-গেস্টরুমের ভয় দেখাতে না পারে, সেজন্য নতুন ছাত্রসংগঠনকে সোচ্চার থাকতে হবে।”
দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে দেশের মানুষ পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয়। এটি একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রত্যাশা অনুযায়ী তৈরি হয়েছে বলে সাধারণ মানুষ মনে করে।”
এদিকে, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম জানান, “খুব শিগগিরই সারাদেশের জেলা ও মহানগরে এনসিপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে। এনসিপি ‘মাই ম্যান’ পলিটিক্স করবে না; দল পরিচালিত হবে কেবল যোগ্য ও বিশ্বস্ত নেতৃত্বের মাধ্যমে।”
উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ আত্মপ্রকাশ করেছিল। তখন তারা “স্টুডেন্ট ফাস্ট, বাংলাদেশ ফাস্ট” স্লোগান নিয়ে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তিহীন ও গণতান্ত্রিক কাঠামোর ছাত্রসংগঠন হিসেবে কাজ শুরু করে।



































