Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ইরানের নারী ফুটবল দলে আটজন পুরুষ!

iran-women-football-teamখেলেন নারী দলে, অথচ তারা পুরুষ। তাও এক-দু’জন নন, আটজন। ভিন্ন লিঙ্গের হয়েও এ আটজন ফুটবল খেলছেন ইরানের জাতীয় নারী দলের হয়ে। ঘটনাটি প্রকাশ করেছে খোদ দেশটির ফুটবল ফেডারেশন। ওই আট পুরুষ ফুটবলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, লিঙ্গ পরিবর্তন করে নারীতে রূপান্তরিত হওয়ার কথা থাকলেও সেটি তারা হননি।

ইরানিয়ান লীগের কর্মকর্তা মোজতাবি শরিফি দেশটির একটি সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান। তবে অভিযুক্ত পুরুষ ফুটবলারদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এ ঘটনায় ইরান জাতীয় দল এবং শীর্ষ লীগের সব খেলোয়াড়ের লিঙ্গ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

chardike-ad

দেশটিতে নারী দলে পুরুষ খেলোয়াড় আবিষ্কারের ঘটনা অবশ্য এবারই প্রথম নয়। গত বছরও চারজন খেলোয়াড় পাওয়া যায়, যারা হয় পুরুষ নয়তো লিঙ্গ পরিবর্তনের অস্ত্রোপচার অসম্পূর্ণ বলে জানা যায়। তারও আগে ২০১০ সালে দলটির গোলরক্ষকের লিঙ্গ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

শরিয়া আইনভিত্তিক ইরানের আইনে সমকামিতা অবৈধ; তবে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খামেনির ১৯৭৯ সালে দেওয়া ফতোয়া অনুসারে, লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য অস্ত্রোপচার করা যাবে। নতুন করে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নারীতে রূপান্তরিত হয়ে অভিযুক্ত আট ফুটবলার দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।

সাধারণত ধর্মীয় ভাবগাম্বীর্য বজায় রেখে ইরানের নারী ফুটবলাররা হিজাব, লম্বাহাতা এবং ট্র্যাক স্যুট পরে খেলতে নামেন। তবে এজন্য তাদের পরিবার থেকে পূর্বানুমতি নিতে হয়। গত মাসে স্বামীর অনুমতি না পাওয়ায় ইরান জাতীয় নারী দলের অধিনায়ক নিলুফার আরদালান মালয়েশিয়া সফরে যেতে পারেননি। এ সময় তিনি বলেন, ‘একজন মুসলিম নারী হিসেবে আমি খেলার মাঠে দেশের পতাকা উঁচিয়ে ধরতে চাই। আমি আশা করি, এসব ক্ষেত্রে নারী খেলোয়াড়দের অধিকার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেবে।’