উত্তর কোরিয়ার নাম শুনলেই সবার আগে মনে আশ্রয় নেবে যুদ্ধ-বিগ্রহের নানা ঘটনা। রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উনের একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ড দেশটিকে বিশ্বের অন্য দেশগুলো থেকে আলাদা করে রেখেছে। তবে শুনলে অবাক হতে হবে যে যুদ্ধপ্রিয় দেশটি তাদের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে বড় এক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির চেয়েও ভালো খেলোয়াড় তারা তৈরি করতে বদ্ধপরিকর।
মূলত ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপের সফলতার পুনরাবৃত্তি করার লক্ষ্য উত্তর কোরিয়ার। ঠিক ৫০ বছর আগে ওই সময়ের পুঁচকে দলটি কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে সবাইকে চমকে দেয়, যদিও ইতালির কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়ে তাদের। কিন্তু ওই আসরের সফলতা যে শুধুই চমক ছিল বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমানে বিশ্ব ফুটবলে ১২৬ নম্বর র্যাংকিংয়ে বিভক্ত কোরিয়ার এই দেশটি। কড়া নিষেধাজ্ঞার মধ্যে চলাফেরা করতে হয় দেশটিকে, এমনকি দেশের জনগণকেও। তারপরও ফুটবল নিয়ে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য ঠিক করে এগিয়ে যাচ্ছে তারা।
আগামী দিনের সুপারস্টারদের বের করে আনতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এশিয়ার দেশটি। এই লক্ষ্যে ২০১৩ সালে পিয়ংইয়ং আন্তর্জাতিক ফুটবল স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিল দেশটি। এই স্কুলের ফুটবল একাডেমির কোচ ইউ হি বলেন, ‘আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রতিভাবান খেলোয়াড় বানানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছি, যেন তারা লিওনেল মেসির মতো খেলোয়াড়দেরও ছাড়িয়ে যায়। আমি মনে করি নিকট ভবিষ্যতে আমাদের উচিত এশিয়ায় আধিপত্য করা। আশা করি ধীরে ধীরে বিশ্বেও দাপট দেখাতে পারব।’
অবশ্য কড়া নিষেধাজ্ঞার কারণে এমন লক্ষ্য কাগজে কলমেই থেকে যাবে মনে করেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ জর্ন অ্যান্ডারসন।