শক্তিশালী ইনছন ওয়ারিয়র্সকে ৪উইকেটে হারিয়ে বিসিকে ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের ফাইনালে উঠেছে গোল্ডেন বয়েজ ইলসান। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে শেষ ওভারে বিশাল ছক্কার মাধ্যমে জয়ের পথ দেখান গোল্ডেন বয়েজের অলরাউন্ডার নীরু। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বিজয়ী দলের সাথে টুর্ণামেন্টের ফাইনাল নিশ্চিত করলো গোল্ডেন বয়েজ ইলসান।

বাংলাদেশী অধ্যুষ্যিত শহর পাজুতে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় গোল্ডেন বয়েজ ইলসান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইনছন ওয়ারিয়র্স উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জীবনকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। জামাল এবং শহীদের দ্বিতীয় উইকেট জুটি খেলায় ফিরিয়ে আনে ইনছন ওয়ারিয়র্সকে। ম্যাচের একমাত্র অর্ধশতক ৫২ রান আসে শহীদের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় উইকেটে নামা অধিনায়ক রুপম ১৯ রান করে দলকে শতরানের বাঁধা পার করতে সাহায্য করেন। শেষের দিকে প্রত্যাশা অনুযায়ী ঝড়োগতিতে রান নিতে না পারায় নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৮উইকেটে ১৩২ রানে শেষ হয় ইনছন ওয়ারিয়র্সের ইনিংস। গোল্ডেন বয়েজ ইলসানের পক্ষে নিশাত সর্বোচ্চ উইকেট নেন।
ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে ১৩৩ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে হোঁচট খায় গোল্ডেন বয়েজ ইলসান। দলের সেরা ব্যাটসম্যান পায়েল মাত্র ৬ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। অমিত, উদয় এবং অধিনায়ক সাজিদ খেলায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্ঠা করেন। সপ্তম উইকেট জুটিতে নীরু’র অপরাজিত ৩৪ রান এবং কমলের অপরাজিত ২৮ রানের সাহায্যে প্রতিদ্বন্দিতাপুর্ণ এই ম্যাচে জয় পায় গোল্ডেন বয়েজ ইলসান। ২৮ রান এবং ৪টি ক্যাচ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ম্যাচ অব দ্য ম্যাচ হন কমল।

ম্যাচ শেষে ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কার তুলে দেন বিসিকে নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু মুসা দিপু। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পাজু মসজিদ কমিটির সভাপতি ও নির্বাহী কমিটির সদস্য এ কে এম জামান সরকার, জুয়েল আহমেদ, আজমীর হোসেন, রাফিজ রনি এবং বিসিকে সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার কামাল। আম্পায়ারের দ্বায়িত্ব পালন করেন নুর হোসেন এবং আজমীর হোসেন। স্কোরকার্ডে ছিলেন মোঃ জালাল হোসেন।
স্কোর
ইনছন ওয়ারিয়র্স ১৩২/৮ (শহীদ ৫২, রুপম ১৯, জামাল ১৪)
গোল্ডেন বয়েজ ইলসান ১৩৫/৬ (নীরু ৩৪, কমল ২৮, সাজিদ ১৬)
ম্যান অব দ্য ম্যাচ- কমল